মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের তৈরি এই যুদ্ধবিমান হলো ফাইটার জেট জে-৩৫এ। এটি চীনের দ্বিতীয় পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ ফাইটার জেট। যুক্তরাষ্ট্রের পর চীন একমাত্র দেশ যাদের দুটি পঞ্চম প্রজন্মের সামরিক যুদ্ধবিমান রয়েছে। একে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশ্রেষ্ঠ যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) জানায়, জে-৩৫এ একটি মাঝারি আকারের স্টিলথ যুদ্ধবিমান। এই বিমান একাধিক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
সবকিছু ঠিক থাকলে চীনের বাইরে পাকিস্তানই প্রথম ও একমাত্র দেশ হবে যাদের কাছে যুদ্ধবিমান জে-৩৫এ এর একটি স্কোয়াড্রন থাকবে। একই সঙ্গে চীনের সবচেয়ে উন্নত সামরিক যুদ্ধবিমান রফতানির প্রথম নজিরও হবে এটি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সামরিক আদালতে ২৫ বেসামরিক ব্যক্তির সাজা
হংকংভিত্তিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন দুই বছরের কম সময়ে ৪০টি স্টিলথ ফাইটার জেট সরবরাহ করবে। চীনের পুরো প্রতিরক্ষা শিল্প এরইমধ্যে ব্যাপক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। কারণ এই যুদ্ধবিমানের কোনো অংশের জন্য অন্য কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে হয় না চীনকে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের বিমান বাহিনী ইতোমধ্যে এই যুদ্ধবিমান কেনার অনুমোদন দিয়েছে। বেইজিং থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য পাওয়া না গেলেও যদি এমন চুক্তি বাস্তবায়িত হয় তাহলে পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হবে।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে বোমা ফেলতে গিয়ে নিজেদের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করল মার্কিন বাহিনী
মার্কিন বিমান বাহিনীর চায়না অ্যারোস্পেস স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ব্রেন্ডান মুলভেনি বলেন, এই পদক্ষেপ পাকিস্তানকে চীনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছে। পাকিস্তানের বিমান বাহিনী ভারতীয় বিমান বাহিনীর থেকে এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, চীনা যুদ্ধবিমান দিয়ে পাকিস্তানিরা কতটা দক্ষতার সঙ্গে উড়তে ও যুদ্ধ করতে পারে, সেটি ভিন্ন বিষয়। এছাড়া যুদ্ধবিমানের কর্মক্ষমতা নির্ভর করবে বেইজিং কীভাবে অস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা ব্যবস্থা সরবরাহ করে তার ওপর।
]]>