অতিবৃষ্টি ও বজ্রপাত থেকে বাঁচতে নবীজি যে দোয়া শিখিয়েছেন

৬ ঘন্টা আগে
বৃষ্টি মহান আল্লাহর দান। বৃষ্টিতে সজীব ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে প্রকৃতি। নবীজি বৃষ্টির পানি গায়ে লাগাতেন। উম্মতকেও বৃষ্টির পানি গায়ে লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন।

অতিবৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ ও জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। আর বজ্রপাতে মানুষ মারা যায়। তাই তো নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দুটি থেকে বাঁচার দোয়া শিখিয়েছেন।

 

অতিবৃষ্টি থেকে বাঁচার দোয়া

 

নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতিবৃষ্টি হলে এ দোয়াটি পড়তেনঃ

 

اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা আলাইনা। আল্লাহুম্মা আলাল-আকামি ওয়াযযিরা-বি ওয়াবুতূনিল আওদিয়াতি, ওয়ামানা-বিতিশ শাজার।) (বুখারি: ৯৩৩)

 

অর্থ: হে আল্লাহ, আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বর্ষণ করুন, আমাদের ওপর নয়। হে আল্লাহ, উঁচু ভূমিতে, পাহাড়ে, উপত্যকার কোলে ও বনাঞ্চলে বর্ষণ করুন। 

 

আরও পড়ুন: হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাওয়া কি কিয়ামতের আলামত!


বজ্রপাত থেকে বাঁচার দোয়া

 

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বজ্রের আওয়াজ শুনতেন তখন এ দোয়া পড়তেনঃ

 

اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা তাক্বতুলনা বিগাজাবিকা, ওয়া লা তুহলিকনা বিআজা বিকা; ওয়া আফিনা ক্বাবলা জালিকা।) (তিরমিজি ৩৪৫০)

 

অর্থ: হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আপনার গজব দিয়ে হত্যা করে দেবেন না এবং আপনার আজাব দিয়ে ধ্বংস করে দেবেন না। এসবের আগেই আপনি আমাকে পরিত্রাণ দিন। 

 

আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনে যেসব আমল করবেন


বজ্রপাতের শব্দ শুনলে নবীজি যে দোয়া পড়তেন

 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বজ্রপাতের শব্দ শুনলেই পড়তেনঃ

 

سُبْحَانَ الَّذِيْ يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِهِ (উচ্চারণ: সুবহানাল্লাজি ইয়ুসাব্বিহুর রাঅদু বিহামদিহি।)

 

অর্থ: পবিত্র সত্তা -- বজ্রও সন্ত্রস্ত হয়ে যার প্রশংসা করে।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন