অটোরিকশার ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে শিগগিরই অভিযান: ডিএনসিসি প্রশাসক

২ সপ্তাহ আগে
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে ডিএনসিসি ও ডিএমপি যৌথভাবে কাজ করছে। ঢাকা শহরের ভিতরে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে শিগগিরই অভিযান শুরু হবে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি জানান, 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এরইমধ্যে অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা করেছে। শিগগিরই অভিযান চালিয়ে এগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।

 

ডিএনসিসির ৬, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকায় ৭টি প্যাকেজে মোট ২০ কিলোমিটার রাস্তা, ৩৪ কিলোমিটার নর্দমা ও ১৫ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

 

নির্মাণকাজ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 

বিভিন্ন এলাকার বাড়ির মালিক সমিতিকে অনুরোধ করব আপনারা আপনাদের এলাকায় অবৈধ অটোরিকশা ঢুকতে দেবেন না। আপনাদের আবাসিক এলাকাগুলো যে পরিকল্পনা করে করা হয়েছে, সেই পরিকল্পনার বাহিরে কিছু করতে দেবেন না। আবাসিক এলাকায় কোন বাণিজ্যিক কাজ করতে দেবেন না। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে আপনারা স্থানীয় কমিউনিটি সোচ্চার হলে অবৈধ অটোরিকশা, অবৈধ হকার বন্ধ করা সহজ হবে।

 

নগরবাসীর উদ্দেশ্যে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করব আপনারা বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি থেকে প্লট কেনার আগে মৌজা ম্যাপ চেক করে দেখবেন জলাধার কিনা। জলাধার হলে দয়া করে সেই প্লট কিনবেন না। জলাধার হলে পরবর্তীতে সেই প্লট পেতে ঝামেলা হবে।

 

আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অটোরিকশা চুরির ঘটনায় গ্রেফতার ৯

 

তিনি বলেন, সবাই একসময় ভাবতেন পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় কোনোদিন পাকা রাস্তা হবে না। এই এলাকায় শুধু গোডাউন ভাড়া দেয়া হতো একসময়। পরিকল্পিতভাবে মাঠের জায়গা রাখা হয়নি, কোন গাছ লাগানো হয়নি। ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ভেতর দিয়ে খাল ছিল। আমরা নাগরিক সমাজ আন্দোলন করেছি সেই খাল উদ্ধারের জন্য, মামলা পর্যন্ত করা হয়েছিল। ৭টি প্যাকেজের নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে, জলাবদ্ধতা দূর হবে।

 

এসময় তিনি বলেন, 

এই এলাকায় যারা বসবাস করেন সবাইকে অনুরোধ করছি আপনারা এই বর্ষায় গাছ লাগিয়ে পুরো ইস্টার্ন হাউজিং এলাকাটিকে সবুজের চাঁদরে নিয়ে আসুন। আমি অনুরোধ করছি ছোট গাছ না লাগিয়ে বড় গাছ লাগাবেন। পরিকল্পনা করে একটা রোডে কৃষ্ণচূড়া লাগান, আরেকটা রোডে সোনালু লাগান। এতে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

 

পরে ডিএনসিসি প্রশাসক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।

 

নির্মাণকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ।

 

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন