তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার (২১ জুন) মধ্য রাতে উপজেলার হাফেজীবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (২২ জুন) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র্যাব-১১ ব্যাটালিয়ানের উপপরিচালক ও সিপিসি ১ কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান বিনতে আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- বন্দর উপজেলার হাফেজীবাগ এলাকার নান্নু খলিফার ছেলে শান্ত (২৫) ও একই এলাকার আলম চাঁনের ছেলে রবিন (২৮)।
দুজনই মামলার এজাহারনামীয় আসামি বলে র্যাব জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যা মামলায় ৭ জনের আত্মসমর্পণ
র্যাব জানায়, এর আগে শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টায় উপজেলার হাজারীবাগ রেললাইন এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাবু-মেহেদী ও রনি-জাফর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে বৃদ্ধ আব্দুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী নিহতের মরদেহ নিয়ে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। এর পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারে তৎপরতা চালানো হয় বলে র্যাব জানায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, একই ঘটনা নিয়ে গত শুক্রবার (২০ জুন) এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় মো. জাকির বাদী হয়ে বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধিসহ ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার মধ্য রাতে থানা পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি শান্ত ও ১১ নম্বর আসামি রবিনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার দুই আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদেরকে বন্দর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় র্যাব।