রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে উদ্ধার হওয়া ওই নারী বর্তমানে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উদ্ধার হওয়া নারীর পুরো শরীরে মরিচের গুঁড়া লাগানো ছিল। এছাড়া তার পরিধেয় কাপড়ও ছেঁড়া ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, দুপুর দেড়টার দিকে গামছা দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই নারীকে আলামকাঠী গ্রামে পিরোজপুর-নাজিরপুর সড়কের পাশে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতালে ভর্তি ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুর থেকে অটোরিকশাযোগে নাজিরপুর যাচ্ছিলেন। পথে বাইপাস এলাকায় চার জন অটোরিকশাটিতে উঠে তার চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে আবার অচেতন অবস্থায় সড়কের পাশে ফেলে রাখে। এছাড়া তিনি আর কিছুই জানাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: হোটেল থেকে আটকদের দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, জরুরি সেবা নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না। এছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
]]>