কীভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটল, সেসব এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কেন দু’জন দক্ষ ও অভিজ্ঞ পাইলট থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা এড়ানো গেল না, সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সবাইকে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গুজরাটের আহমেদাবাদে সর্দার বল্লভভাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অদূরেই মেঘানিনগরের কাছে বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমানটি।
ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) সূত্রের খবর, বিমানের পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন সবরওয়াল। সঙ্গে ছিলেন সহ-পাইলট তথা ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর। ক্যাপ্টেন সবরওয়ালের ৮,২০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল। সহ-পাইলটের বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল ১,১০০ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: ভারতে বিমান বিধ্বস্ত /শেষ রক্ষার সুযোগই পাননি পাইলট, কেমন ছিল শেষ ১০ মিনিট?
অর্থাৎ দুই পাইলটের সম্মিলিত উড্ডয়ন-অভিজ্ঞতা ছিল প্রায় ১০ হাজার ঘণ্টার কাছাকাছি। তা সত্ত্বেও আকস্মিক দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি।
এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে ‘মে ডে কল’ দেন পাইলট। তারপর ৬২৫ ফুট উচ্চতা থেকে প্রতি মিনিটে ৪৭৫ ফুট বেগে নিচে নামতে শুরু করে বিমানটি।
ডিজিসিএ জানিয়েছে, বিমানটিতে মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৩২ জন যাত্রী এবং ১০ জন ক্রু সদস্য। বোয়িং সংস্থার ড্রিমলাইনার বিমানটি দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। গন্তব্য ছিল ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর।
সংশ্লিষ্ট সংস্থা জানিয়েছে, রানওয়ে ছাড়ার পরপরই দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে এটিসিকে ‘মে ডে কল’ করেন পাইলট। কিন্তু বিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও আর জবাব পাওয়া যায়নি। পরমুহূর্তেই লোকালয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
আরও পড়ুন: গুজরাট ট্রাজেডি /লন্ডনে স্বামীর কাছে যাওয়া হলো না খুশবুর
এতে হতাহতের বিষয়টি এখনো স্পষ্ট হয়নি। যদিও অনেক গণমাধ্যম দাবি করছে, এ দুর্ঘটনায় ২৪১ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে, বেঁচে ফিরেছেন একজন। তবে সরকারিভাবে এখনো মৃত্যুর সংখ্যা জানানো হয়নি।
]]>