বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টে ২০১৬ সালে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য চীনা কোম্পানি সিএইচইসির সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজা। নানা কারণে সিএইচইসির সঙ্গে ডেভেলপার ও জমি ইজারা চুক্তি না হওয়ায়, ২০২২ সালে প্রকল্পটি, প্রথম ধাপে ভেস্তে যায়। এরপর চীনের পক্ষ থেকে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনকে (সিআরবিসি) নতুন ডেভেলপার মনোনীত করা হয়।
জিটুজি পদ্ধতিতে বেজার সঙ্গে করা চুক্তির দীর্ঘ ৮ বছর পরও শুরু হয়নি নির্মাণ কাজ। যদিও এজন্য কেটে ফেলা হয়েছে পাহাড়, উজাড় হয়েছে বন-জঙ্গল। কাজের অগ্রগতি বলতে, দৃশ্যমান একটি টিন শেডের ঘর। আর নির্মিত হয়েছে একটি সড়ক।
আরও পড়ুন: টানেলের মতোই অকেজো ৪৫০ কোটি টাকার কর্ণফুলী রিসোর্ট
অথচ ৭৮৪ একরে ৪'শোর বেশি শিল্প কলকারখানায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের আশ্বাসে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয় কর্ণফুলী টানেল। শ্বেতহস্তী এই প্রকল্পে এখন প্রতিদিন লোকসান ২৭ লাখ টাকা। , বলছে সচেতন মহল।
নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, অপরিকল্পিত প্রকল্পে এখন করুণ দশা বন্দরনগরীর। এতে আটকে আছে বহু জমি।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, কর্ণফুলী টানেলের একপ্রান্তে বন্দর হলেও খালি পড়ে আছে আনোয়ারা প্রান্ত। সেখানে বন্দরের কার্যক্রম সম্প্রসারণের পাশাপাশি কনটেইনার অফডক করা যেতে পারে।
চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য এরই মধ্যে ২'শ একর জায়গায় পাহাড়ি টিলা কেটে সমান করা হয়েছে।
]]>