ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শনিবার (১৪ জুন) ইনস্টাগ্রামে এক আবেগঘন পোস্ট দেন শ্বেতা। জানান, সিবিআই আদালতে সুশান্তর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে প্রমাণ করলেও হাল ছাড়বেন না তিনি। তদন্ত চালিয়ে যাবেন।
সময়ের পাঠকের জন্য শ্বেতা সিং কীর্তির ইনস্টাগ্রাম পোস্ট তুলে ধরা হলো-
আজ ভাইয়ের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২০-র ১৪ জুন তার মৃত্যুর পর থেকে অনেক কিছু ঘটেছে। সিবিআই আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আমরা তদন্ত চালু রাখার চেষ্টা করছি।
আজ আমি যা বলতে চাই তা হলো যাই ঘটুক না কেন, হাল ছাড়বেন না, ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস হারাবেন না। সর্বদা মনে রাখবেন আমাদের সুশান্তের কী কী আদর্শ ছিল, শেখার প্রতি অদম্য উৎসাহ ছিল তার।
ভালোবাসায় ভরা হৃদয় ছিল সুশান্তের, যা সকলের সঙ্গে সমান আচরণ করায় বিশ্বাসী ছিল। দানশীলও ছিল সুশান্ত। ভাই কোথাও যায়নি বিশ্বাস করুন। ও আপনাদের মধ্যে রয়েছেন, আমার মধ্যে রয়েছেন, আমাদের সকলের মধ্যে রয়েছেন।
আমরা যখনই কাউকে সমস্ত হৃদয় দিয়ে ভালোবাসি, যখনই আমরা আরও শিখতে আগ্রহী হই, আমরা সুশান্তকে জীবন্ত করে তুলি। কোনো নেতিবাচক অনুভূতি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ভাইয়ের নাম ব্যবহার করবেন না। ও থাকলে এটা পছন্দ করতো না।
আরও পড়ুন: ক্ষমা চেয়ে বিয়ের উদ্যাপন পার্টি পেছালেন হিনা খান
আপনি সেই জ্বলন্ত শিখা হন যা তার উত্তরাধিকার অব্যাহত রাখার জন্য। অন্যান্য মোমবাতিকে আলোকিত করুন ওর ব্যক্তি দিয়ে। যেকোনো মহান ব্যক্তির উত্তরাধিকার সর্বদা তিনি চলে যাওয়ার পরে বৃদ্ধি পায়। জানেন কেন? কারণ তাদের ব্যক্তিত্বের চুম্বকত্ব বীজ পরবর্তী প্রজন্মের মনকে প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন: কত টাকার সম্পত্তির মালিক সঞ্জয়, কারিশমার ছেলে-মেয়ে পাবে কত?
২০২০ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সুশান্ত রাজপুত। মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় নিজের বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ মৃত্যুকে পুলিশ আত্মহত্যা জানালেও পরিবারের দাবি অভিনেতাকে খুন করা হয়েছে।
]]>