৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন চায় এবি পার্টি

১ সপ্তাহে আগে
রাজনৈতিক দল ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব কমানো, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ছাত্রদের ঐক্যে ফাঁটলের কারণ অনুসন্ধান ও সমাধানে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

রোববার (২৫ মে) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনটি বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে জানান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

 

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। তবে উনার উপদেষ্টারা তাকে বুঝিয়ে পদে থাকতে রাজি করিয়েছেন। তবে আমরা মনে করি উনার পদ ছাড়াটা মঙ্গলজনক কিছু হবে না।

 

প্রধান উপদেষ্টাকে তিনটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে জানিয়ে মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, প্রথমত প্রধান উপদেষ্টাকে আমরা শুরু থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে লিয়াজোঁ বজায় রাখতে একটি টিম গঠনের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি না করায় বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দূরত্ব হয়েছে, সেনাবাহিনীর সঙ্গেও দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা সেই লিয়াজোঁ টিমটি বানানোর পরামর্শ দিয়েছি।

 

পাশাপাশি নির্বাচন ও বিচার নিয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেয়ার বিষয়েও কথা হয়েছে। আমরা মনে করি ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হতে পারে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া যেতে পারে।

 

তৃতীয়ত জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের শক্তির ঐক্যে ফাঁটলের বিষয়েও আমরা বলেছি। কেন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার ছাত্রদের ঐক্য ফাঁটল ধরেছে সে সব নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান এবি পার্টির চেয়ারম্যান।

 

আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন: তারেক রহমান

 

এরআগে, বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় প্রবেশ করেন বিভিন্ন দলের নেতারা। তাদের মধ্যে এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু ছাড়াও এলডিপির প্রেসিডেন্ট অলি আহমেদ, নাগরিক ঐক্য’র সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাবেক আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি'র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন উপস্থিত ছিলেন। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন