জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির সূত্র জানায়, ৫ দিনের টানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেষ দুই দিন চলছে হরতাল-অবরোধ। এতে মোংলা বন্দর, ইপিজেড, ইকোনমিক জোনসহ প্রায় ৫৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
বন্দরের বহিঃনোঙর, হারবারিয়া, ভ্যাসক্রিকি ও জেটি এলাকায় আমদানি-রফতানির পণ্যবাহী বড় জাহাজ থেকে খালাস কাজ চললেও নৌচলাচল বন্ধ থাকায় লাইটার ও কার্গো জাহাজগুলো পণ্য বহন করতে পারছে না। ফলে পশুর চ্যানেলে শতাধিক কার্গো, লাইটার ও বোট পণ্য নিয়ে আটকে আছে।
হরতালের অংশ হিসেবে মোংলা-খুলনা মহাসড়কের অন্তত ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে ও ব্যারিকেড বসিয়ে অবরোধ চালাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন, ফেরিঘাট ও নৌচলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ, যাত্রীরা, গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টার হরতাল-অবরোধে মোংলা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
বন্দর, ইপিজেড ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সামনে শত শত ট্রাক ও লরি পণ্য খালাসের অপেক্ষায় অলস সময় কাটাচ্ছে। এদিকে ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাটে তালা ঝুলিয়ে কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন।
জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতা কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম বলেন, ‘গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাট-৪ আসন কর্তন করে অন্যত্র দেয়ার প্রস্তাব করলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাগেরহাটবাসী। আমরা একের পর এক আন্দোলন করছি। মোংলা বন্দরকে অচল করার ষড়যন্ত্র চলছে। খুলনা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য এ বন্দর জীবনরেখা। নির্বাচন কমিশন তার সিদ্ধান্ত থেকে না সরে এলে শনিবার থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আসন পুনর্বিন্যাসে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কর্তন করে অন্যত্র স্থানান্তরের প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। এর প্রতিবাদে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি একের পর এক হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
]]>