সম্মেলনে নাজমুল হাসান তার বক্তব্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা, গণতন্ত্রহীনতা ও দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ১৬ বছরের শাসনামল ছিল দুঃশাসনের প্রতিচ্ছবি। গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। নির্বাচনের নামে প্রহসন চালিয়ে একটি পরিবারতান্ত্রিক স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি গত বছরের জুলাই মাসে সংগঠিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন, যেখানে ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন সাবেক আইজিপি মামুন
তিনি শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও জিহাদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, এই তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ গঠনের ভিত্তি। তাদের বীরত্বগাঁথা কোনোদিন মুছে ফেলা যাবে না।
নাজমুল হাসান জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনসমূহের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক সংগঠিত গণহত্যার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার হওয়া উচিত। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চাই।

আরও পড়ুন: জুলাই হত্যাকাণ্ডে নির্দেশদাতা ও জড়িতরা কীভাবে পালালো, তার বিচারও করতে হবে: রিজওয়ানা
সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ৪৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, শ্রম অধিকার, নাগরিক স্বাধীনতা এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
নাজমুল হাসানের বক্তব্যে তারুণ্যের ভূমিকা ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণে একটি নতুন রাজনৈতিক দর্শন ও অংশগ্রহণভিত্তিক আন্দোলনের চিত্র উঠে আসে। বক্তব্যের পর অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও আলোচনা সৃষ্টি হয়।
]]>