এ নির্বাচন শুধু নেতৃত্ব বাছাই নয়-এটি যেন শিক্ষার্থীদের অধিকার, স্বপ্ন আর ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে, সেটিই প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের। ভোট দেয়ার সুযোগ আসায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৭ জন। এরমধ্যে ১১টি ছাত্র হলে ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ১৮ জন। আর ১০টি ছাত্রী হলে ভোটার সংখ্যা ৫ হাজার ৭২৯ জন।
বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন পেয়েছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১০ জন।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসুতে হতে যাচ্ছে নির্বাচন
নির্বাচনে বাম, শিবির, ছাত্রদল ও স্বতন্ত্রদের সমর্থিত মিলিয়ে সর্বমোট আটটি প্যানেল অংশ নেবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা।
ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেবেন (টিক চিহ্ন দিবেন)। বিশেষ ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা করা হবে।
সিনেট হলে বসানো বড় স্ক্রিনে সব হলের ভোট পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং প্রতি ঘণ্টায় ফলাফল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও জনসংযোগ দফতরের ফেসবুক পেজে ভিডিও নির্দেশনাও প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি গেইটে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ১২শ পুলিশ। সেই সঙ্গে, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সিভিল পোশাকসহ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে আনসার সদস্যও।
]]>