বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে বাম সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত ৯ শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আলোচনার প্রস্তাব দিলেও শিক্ষার্থীরা তা নাকচ করে দেন। প্রশাসন জানিয়েছিল, রোববার বিকেলে আলোচনায় বসতে চায় তারা, কিন্তু শিক্ষার্থীরা অনড় অবস্থানে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা আমরণ অনশনে চালিয়ে যাচ্ছেন।
এরই মধ্যে অনশনরত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (ইউপিডিএফ সমর্থিত) সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া, শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকির ও শাখা নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সুদর্শন চাকমাকে স্যালাইন দিতে হয়েছে, আর ধ্রুব বড়ুয়ার রক্তচাপ কমে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৭ দাবিতে আমরণ অনশনে চবির ৯ শিক্ষার্থী
‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে অনশনে যোগ দেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, ধ্রুব বড়ুয়া, জশদ জাকির, রাম্রা সাইন মারমা, আহমেদ মুগ্ধ, নাইম শাহজাহান, সুমাইয়া শিকদার, ঈশা দে ও সুদর্শন চাকমা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীদের মানসম্মত চিকিৎসার নিশ্চয়তা, নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা, হামলার ভিডিও প্রকাশকারীদের নিরাপত্তা, প্রকৃত অপরাধীদের বিচার, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন।