রোববার (১১ মে) সকালে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। সড়কের পাশেই তৈরি করা হয়েছে জুলাই মঞ্চ।
আহতরা বলছেন, কোন দলের ব্যানারে জুলাইকে হারিয়ে যেতে দিতে চান না তারা। আহতরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসরদের কোনোক্রমেই পুনর্বাসন করা সম্ভব নয়।
এ সময় আওয়ামী লীগকে ভারতের রাজাকার মন্তব্য করে আহতরা বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধের নামে নাটক নয়, অতিদ্রুত আইনপ্রয়োগ করে চিরতরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে।
চিকিৎসা নিশ্চয়তা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা এবং দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি তোলেন আহতরা। সেইসঙ্গে রাজপথে থাকাকালে জুলাই সনদ ঘোষণাও চান তারা।
আরও পড়ুন: বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত
দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেন জুলাই আন্দোলনে আহতরা।
গত শনিবার (১০ মে) রাতে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, ‘আজ উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
]]>