শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আইএলটি২০-তে দ্বিতীয় ইনিংসে বদলি হিসেবে নামা লুক উডের ধরা ক্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণই। আবুধাবি নাইট রাইডার্সের শীর্ষ পাঁচের মধ্যে তিনজনের ক্যাচ ধরেছেন ডেজার্ট ভাইপার্সের এই ইংলিশ। এরমধ্যে আছেন ২১ রান করা ওপেনার কাইল মেয়ার্স, চার নম্বরের চারিথ আসালাঙ্কা ও পাঁচ নম্বরের সুনিল নারিন। ডেভিড পেইনকে সহায়তা করেছেন আন্দ্রে রাসেলের ক্যাচ ধরায়। তবে ২ ওভার বল করে তিনি নিজে কোনো উইকেট নিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে সিরাজের বাদ পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করলেন রোহিত
১৯৪ রান তাড়ায় আবু ধাবির উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ২ রানে, এ সময় ফিরে যান ফিল সল্ট। কিন্তু এরপর জো ক্লার্ককে নিয়ে ধাক্কা সামাল দিয়ে ফেলেন মেয়ার্স। ৬৬ রানের জুটির পর ড্যান লরেন্সকে মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার। সীমানাদড়ির ভেতর থেকে ক্যাচ ধরলেও শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পারায় বাইরে চলে যেতে হয় উডকে, সে সময় বলটি শূন্যে ভাসিয়ে দেন তিনি। পরে দ্রুত মাঠে ঢুকে মাটিতে পড়ার আগেই বল তালুবন্দী করেন। ব্যক্তিগত ২১ রানে আউট হন মেয়ার্স।
সুনিল নারিনের ক্যাচটিও প্রায় একইভাবে ধরেন উড। এর আগে ধরা আসলাঙ্কার ক্যাচটি সে তুলনায় খুবই সহজ, শ্রীলঙ্কান ব্যাটার ক্যাচ তুলেছিলেন কাভার অঞ্চলের ৩০ গজ ও বাউন্ডারি মাঝামাঝি স্থানে। অনায়াসে অবশ্যকর্তব্য পালন করেন উড।
আরও পড়ুন: ডি ভিলিয়ার্সের তাণ্ডব: এক দিনে তছনছ দুই বিশ্বরেকর্ড
ক্লাক ৩২ বলে ৫৫ রান করে রানআউট হওয়ার পর নেমেছিলেন ব্যাটিংদানব আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু স্কোরবোর্ডে ৬ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি তিনি। আসালাঙ্কার শিকারি নাথান সোটারের আগের বলে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রাসেল। পরের বলেও মেরেছিলেন শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে। বল ছক্কা হবে হবে অবস্থা, কিন্তু উড সীমানাদড়ির উপর দিয়ে লাফিয়ে উঠে বল ছুঁড়ে দেন পেইনকে। উড মাঠের বাইরে পড়ে গেলেও পেইন রাসেলের বিদায় নিশ্চিত করেন।
৯৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা আবু ধাবি শেষ পর্যন্ত ১৪০ রানে অলআউট হয়। সোটার ৪৪ রানে ৩ ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ২২ রানে ২ উইকেট নেন। ডেজার্ট পায় ৫৩ রানের জয়, ম্যাচসেরা হন উড। এর আগে আলেক্স হেলসের ৩৬ বলে ৫৫ ও লরেন্সের ৩২ বলে ৪৯ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান করে ভাইপার। স্যাম কুরান ৩৫ ও আজম খান করেন ২১। জেসন হোল্ডার ২৪ রানে নেন ২ উইকেট।