বুধবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় নির্মাণাধীন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে চিকিৎসক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাউখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস. এম. আহসান কবীর, পিরোজপুর জেলা জামায়াতের সহ-সভাপতি মাওলানা ছিদ্দিকুল ইসলাম, উপজেলা ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আলী হোসেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান নিক্সন, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিক, তারিকুল ইসলাম পান্নু ও এনামুল হক।
বক্তারা বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ শুরু না হলে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন তারা।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীর মৃত্যু
জানা গেছে, ২০০৮ সালে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এতে মূল ভবন ও দুটি আবাসিক ভবনের জন্য ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানকের ভাই নাসির উদ্দিন লিটু ক্ষমতার অপব্যবহার করে ‘নূরিয়া এন্টারপ্রাইজ’ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ২০ শতাংশ কাজ করে বিল নিয়ে চলে যায়। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করায় ২০১৪ সালের ২৫ জুন তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। পরে ২০২৪ সালের ২১ এপ্রিল দুদক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তিন প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের নামে মামলা করে।
পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২৪ জুলাই ‘কহিনুর এন্টারপ্রাইজ’ নামে আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৫ কোটি ১১ লাখ টাকার কার্যাদেশ পায়। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি কাজ না করেই পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ফলে দীর্ঘ ১৭ বছরেও কাউখালী উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়ায় উপজেলার দেড় লাখেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
]]>