সোমবার (১৮ আগস্ট) ভোর ৫টা ৩৫ মিনিট থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে সম্পন্ন হয় উদ্ধার কাজ।
রোববার (১৭ আগস্ট) রাতে লাইনচ্যুতির প্রায় ৫ ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে ট্রেনের উদ্ধার কাজ শুরু হয়। আমনুরা রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার হাসিবুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, খুলনা থেকে আমনুরা জংশনগামী ট্রেনটি জংশনে প্রবেশ করার পরপরই পাঁচটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। এসময় লাইন থেকে ছিটকে পড়ে তেলবাহী ওয়াগনগুলো। এতে আটকা পড়ে রহনপুর থেকে ছেড়ে আসা ইশ্বরদীগামী ইশ্বরদী কমিউটর ট্রেন ও রহনপুর থেকে রাজশাহীগামী পূর্নভবা কমিউটর ট্রেন দুটির যাত্রীরা। পরে ঈশ্বরদী থেকে আসা উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ শেষ করে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-যশোর ট্রেনে বিমান ও গৃহায়ণ কর্মকর্তাদের বাকবিতণ্ডা, দেখে নেয়ার হুমকি
তিনি আরো জানান, যাত্রীবাহী ট্রেনের লাইন স্বাভাবিক থাকলেও মালবাহী ট্রেনের লাইন স্বাভাবিক করতে এখনো কাজ চলমান আছে। কিছু সময়ের মধ্যে সেটিও সম্পন্ন করা হবে। কি কারনে এই দুর্ঘটনা হয়েছে, তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ট্রেন ছাড়ার পর স্টেশন মাস্টারকে বলে ট্রেনে ওঠার সুযোগ নেই, পান্নাকে ট্রাইব্যুনাল
এর আগে রোববার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা আমনুরা জংশনগামী ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। জংশনে থাকা ১০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে তেলগুলো ট্রেনে যাচ্ছিলো। কিন্তু গন্তব্যের আনুমানিক ১০০ মিটার আগেই লাইনচ্যুত হয়। তবে দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি বলে জানান রেলওয়ের কর্মকর্তারা।