১০০ কোটি টাকায় নির্মিত বেওয়ারিশ ভবন

২ দিন আগে
সিলেটে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালের জন্য ৮ তলা ভবনের অভিভাবক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বেওয়ারিশ এই ভবনটি নিয়ে দুবছর ধরে বিভিন্ন বিভাগের টানাহেঁচড়ার মাঝে বিল অনাদায়ে ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। এরইমাঝে নতুন ভবনটিতে চত্বরে বার্ন ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।

গণপূর্ত বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু জাফর জানান, প্রায় ৭ একর ভূমির উপর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে গণপূর্ত বিভাগের অধীনে নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৩ সালে হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কাজ শেষ হওয়ার পর ভবনটি কার কাছে হস্তান্তর করা হবে তা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি গণপূর্ত বিভাগকে।


সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুটি কক্ষে সংক্ষিপ্ত পরিসরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।


উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল পাটোয়ারী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত অভিভাবকহীন ওই ভবনের দুটি ফ্লোরে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় জন্য চিঠি চালাচালি করে ফল পাওয়া যায়নি।


তবে, সিলেট বিভাগীয়,পরিচালক (স্বাস্থ) ডা. মো. আনিসুর রহমান আশার কথা শোনালেন। তিনি জানান, শীঘ্রই ভবনটির দফারফা হবে। কমিটি করে দেয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ সদর হাসপাতালে এই ভবনে স্থানান্তর করে সেখানে শিশু হাসপাতাল করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: গরুর জন্য উন্মুক্ত হাসপাতাল, রোগীদের জন্য দুর্ভোগ


৮৫ কোটি টাকার টেন্ডারে কাজ শুরু হয়েছিল ভবনটির। দফা দফায় এই অর্থ বাড়তে বাড়তে ১০০ কোটিতে গিয়ে ঠেকে। আরও দুই কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে হাসপাতালের প্রাচীর নির্মাণের জন্য। হাসপাতাল চত্বরে খালি জায়গায় ১০০ কোটি ব্যয়ে বার্ন ইউনিটের জন্য আরেকটি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনাও হাতে নেয়া হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন