ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শেখ হাসিনার বেয়াই ও সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে লুটপাট ও দুর্নীতির বিস্তার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৩৫ কোটি ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে তা নিজের দখলে রাখেন। এছাড়া ৭ কোটি ৭২ লাখ ১৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে গোপন করেছেন তিনি।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, তার নামে ও ছদ্মনামে মোট ১৫টি ব্যাংক হিসাব থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে ৬৩ কোটি ৭৭ লাখ ১১ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৭৬ মার্কিন ডলার জমা হয়। একই সময়ে এসব হিসাব থেকে উত্তোলিত হয় ৩৫ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৯৬৭ টাকা ও ৫ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪০ মার্কিন ডলার। সব মিলিয়ে ৯৯ কোটি ২১ লাখ ১৮ হাজার ৮৪২ টাকা এবং ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৮১৬ মার্কিন ডলার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী একটি মামলা করা হয় বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা
খন্দকার মোশাররফ হোসেন সুইজারল্যান্ডে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে। তার ছেলে খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের সাবেক স্বামী। মোশাররফ হোসেন তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৯-২০১৪ মেয়াদে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) ও ২০১৪-২০১৮ মেয়াদে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।