১০ দিনের কেনাবেচা শেষে কোন দলের কত খরচ?

৩ সপ্তাহ আগে
ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য খুলে দেয়া ট্রান্সফার বাজার থেকে ১০ দিনে রেকর্ড কেনাবেচা করেছে ফুটবল ক্লাবগুলো। ইউরোপিয়ান বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর ২১ ক্লাবের মিলিত অর্থ ব্যয়ের পরিমাণ সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার চেয়েও বেশি। সবচেয়ে বেশি ১৮০০ কোটি টাকা খরচ করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। সর্বনিম্ন ৪ কোটি গেছে কাসাব্লাঙ্কার পকেট থেকে। আর ৫টি ক্লাব তাদের পছন্দমতো খেলোয়াড় পেয়েছে ফ্রি এজেন্টের মাধ্যমে।

ফিফার ক্লাব বিশ্বকাপ, আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার একেবারে নিজস্ব এক টুর্নামেন্ট। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ আর কনফেডারেশন কাপের পর এবার এই আসরটিকেও জাঁকজমকপূর্ণ করতে কোন কমতি রাখছে না ইনফান্তিনো গং। 

 

যে ধারাবাহিকতায় জুনের প্রথম দিন থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত খুলে দেয়া হয়েছিলো বিশেষ এক ট্রান্সফার উইন্ডো। যেখান থেকে নিজেদের পছন্দমতো ফুটবলার কেনাবেচা করেছে সবাই। তবে, ৩২ দলের মধ্যে এই সাময়িক সুবিধাটা কাজে লাগায়নি ১১ টি ক্লাব। বাকি ২১ ক্লাব-ই দলে ভিড়িয়েছে অন্তত একজন হলেও নতুন ফুটবলার। 

 

ফুটবলার কেনার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে ইউরোপিয়ান পরাশক্তিগুলো। ২১ ক্লাবের মিলিত খরচ যখন ছুঁয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার শৃঙ্গ, তখন শীর্ষ পাঁচ ক্লাবের ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। 

 

আরও পড়ুন: এখন থেকে তিনি ‘স্যার ডেভিড বেকহ্যাম’

 

সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৮০৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা খরচ করেছে ইপিএলের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। পেপ গার্দিওলা এই দশ দিনে দলে ভিড়িয়েছেন ৪ জন ফুটবলারকে। তালিকার দুই নম্বরে আছে চেলসি। তারা কিনেছে ৩ জনকে, যেখানে অর্থ ব্যয় হয়েছে ৯৯৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। 

 

ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ। ক্লাব বিশ্বকাপের জন্য একেবারে কোচিং প্যানেলটাই বদলে ফেলেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। আর নতুন ক্লাবে এসে নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টের জন্য ২ জন নতুন ফুটবলার দলে এনেছেন শাবি আলোনসো। খরচ হয়েছে ৯৭৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। 

 

চার নম্বরে আছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ রানারআপ ইন্টার মিলান এবং ৫ নম্বরে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তাদের খরচ যথাক্রমে ৫২০ আর ৪৬৩ কোটি টাকা। 

 

আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে যে ক্লাবে ফিরতে চান পগবা

 

ফুটবলার কেনায় কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচের রেকর্ডটা আরবের ক্লাবগুলোর দখলে বেশ কয়েক বছর ধরেই। কিন্তু এবারের ক্লাব বিশ্বকাপের আগে যেন একটু নিষ্প্রভ মধ্যপ্রাচ্যের কর্মকর্তারা। সবচেয়ে বেশি ৮ জন ফুটবলার দলে নিয়েছে আল আইন। ৬ জন ফুটবলার দলে নিয়েছে আল আহলি। কিন্তু তাদের মিলিত খরচ ছুঁয়েছে মাত্র ১০০ কোটির অঙ্ক। 

 

তবে, টাকা খরচের হিসেবে সবাইকে অবাক করেছে দুই ইউরোপিয়ান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ এবং অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। ২ জন করে ফুটবলার কিনেছে দুই ক্লাবই। যেখানে রোজি ব্লাঙ্কোদের খরচ মাত্র ৪২ কোটি আর বাভারিয়ানদের খরচ ১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। 

 

বিশেষ বিবেচনায় এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। যদিও, খেলোয়াড় কিনতে খুব একটা আগ্রহ ছিলো না তাদের। একজন এসেছেন নতুন করে তাও ফ্রি এজেন্টে। আর ক্লাব বিশ্বকাপের এ আয়োজনে নতুন করে কাউকে দলে না ভিড়িয়ে সবাইকে অবাক করেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন পিএসজি, জুভেন্টাস, বেনফিকা, রিভার প্লেট।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন