শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর সোয়া ১টার দিকে তিনি নিজ গ্রাম থেকে আকাশপথে জীবননগরের উদ্দেশে রওনা দেন এবং মাত্র ৬ মিনিটেই পৌঁছে যান জীবননগর হাই স্কুল মাঠে। তারপর সেখান থেকে প্রাইভেটকারে করে পৌঁছে যান কনের বাড়িতে।
হেলিকপ্টারটি হাই স্কুল মাঠে অবতরণ করতেই মুহূর্তে ভিড় জমে যায়। মাঠ যেন উৎসবস্থলে পরিণত হয়। শিশু, বৃদ্ধ, নারী সবার হাতে মোবাইল, কেউ ভিডিও করছেন, কেউ সেলফি তুলছেন। কনের বাড়ির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় বরকে।
বর শাকিব বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমার বাবার স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করব। আল্লাহর রহমতে সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিলো।’
আরও পড়ুন: ভুয়া সেনা সদস্য পরিচয়ে ৩৭তম বিয়ের আয়োজন, অতঃপর...
শাকিব ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গাড়াপোতা গ্রামের বিল্লাল খানের ছেলে। বাবা-ছেলে দুজনেই সৌদি প্রবাসী। তিন ভাইবোনের মধ্যে শাকিব পরিবারের বড় ছেলে। কনে আসমা খাতুন (১৯) জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের মেয়ে। তিনি মাদরাসায় মাওলানা বিষয়ে পড়াশোনা করছিলেন।
কনের বাবা ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘পাঁচ মাস আগে শাকিবের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। এরপর আমার বেয়াই বিল্লাল খানের স্বপ্ন পূরণের জন্য জামাই হেলিকপ্টারে করে আমার মেয়েকে তুলে নিতে আসে। আর এতে আজ আমরা অনেক খুশি।’
আরও পড়ুন: বউ থাকলো বাপের বাড়ি, বাবার অর্থদণ্ড
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টার সময় কনেকে সঙ্গে নিয়ে আবার হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন শাকিব।
]]>