হেফাজতে রাখার সময় বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়তে আদালতে অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট

১ সপ্তাহে আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে হেফাজতে রাখার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। হেফাজতে রাখার সময় বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়তে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রথম আদালতের শুনানিতে হাজিরা দিয়েছেন ইউন সুক-ইওল।

এদিন দুপুর ২টায় গ্রেফতারি পরোয়ানার শুনানির জন্য সিউল জেলা আদালতে একটি কনভয় গাড়ি করে পৌঁছায় প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। গ্রেফতারের পর কর্তৃপক্ষ ইউনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৪৮ ঘণ্টা সময় পাবে। অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে গ্রেফতারের পর তাকে আরও ২০ দিন হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় তদন্তকারীরা।

 

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার আদালতের বাইরে ১২ হাজারেরও বেশি অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইওল সমর্থকরা জড়ো হয়। তারা ইওলের নাম উচ্চারণ করে এবং কোরিয়ান এবং মার্কিন পতাকা হাতে নিয়ে সমাবেশ করে। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন, আবার অনেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হন।

 

আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেফতার

 

ইওল তার আইনজীবীদের মাধ্যেমে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় জানায়, সামরিক আইন আরোপের বৈধতার সঠিক ব্যাখ্যা আর দেশদ্রোহের অভিযোগকে ভুল প্রমাণ করে কলঙ্কের দাগ মুছতে কথা বলতে আদালতের শুনানিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

 

ওয়ারেন্ট পর্যালোচনা শুনানিতে প্রেসিডেন্ট ইওল প্রায় ৪০ মিনিট ধরে বক্তব্য দেন। যদিও গ্রেফতারের পর সিআইও তদন্তকারীদের দ্বারা পরিচালিত ১০ ঘণ্টা ধরে চলা জিজ্ঞাসাবাদে তখন কোনো ভাবেই মুখ খুলেননি কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।

 

শুনানি শেষে ইউন সিউল ডিটেনশন সেন্টারে ফিরে গেছেন এবং আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। রোববার আদালত সিদ্ধান্ত জানাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: অভিশংসিত প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারে অভিযান, দক্ষিণ কোরিয়ায় তোলপাড়

 

এদিকে, সাংবিধানিক আদালত সংসদের অভিশংসনের সিদ্ধান্ত বহাল রেখে ইওলকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে, নাকি তাকে পুনর্বহাল করা হবে তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউলকে তার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে দেশটির দুর্নীতি বিরোধী কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে দেশটির ইতিহাসে এই প্রথম দায়িত্বে থাকা কোন প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করা হলো।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন