নিহত হাবিবুর রহমান ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে। সে ঢাকার সাভার ইসলামিয়া ক্যাডেট মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল এবং সদ্য হেফজ শেষ করে খুলনার ৭ নম্বর ঘাট এলাকায় নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (১১ জুন) দুপুর ২টার দিকে হাবিবুর তার পরিবারের সঙ্গে রানা রিসোর্টে প্রবেশ করে এবং সুইমিংপুলের জন্য নির্ধারিত ২০০ টাকা টিকিট কেটে পুলে নামে। তবে সেখানে কোনো লাইফ জ্যাকেট, রেসকিউ টিম বা নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত ছিল না। সাঁতার কাটার একপর্যায়ে হাবিবুর পানির নিচে তলিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: খুলনায় মিছিল করতে গিয়ে আ. লীগের ১৩ নেতাকর্মী আটক
প্রায় এক ঘণ্টা পর, বিকেল ৩টার দিকে পুলে থাকা অপর এক দর্শনার্থীর পায়ে হাবিবুরের নিথর দেহ আটকে গেলে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। দ্রুত তাকে (হাবিবুর) উদ্ধার করে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পুল ব্যবহারের জন্য আমাদের কাছ থেকে টাকা নিলেও কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। কোনো লাইফ জ্যাকেট দেয়া হয়নি, এমনকি কোনো রেসকিউ টিমও ছিল না। এসব অব্যবস্থাপনার কারণেই হাবিবুরকে হারালাম আমরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে গুলি করে হত্যা
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা খায়রুল বাশার বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ছেলেটি সাঁতার জানতো না।
]]>