আমদানি কারকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১২ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। তবে কাস্টমসের সার্ভারে ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক দেখানো থাকায় আমদানিকৃত চাল খালাস সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে ৪টি ট্রাক ভর্তি চাল বন্দরে আটকে পড়ে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রাশেদ জানান, সোমবার (১৮ আগস্ট) কাস্টমস সার্ভারে হালনাগাদ করে শুল্ক বাতিল করে শুধু ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়। এরপরই আমাদের বিল অব এন্ট্রি দাখিল করার অনুমতি দেওয়া হয় এবং আমরা খালাস কার্যক্রম শুরু করি।
হিলির আরেক আমদানি কারক প্রতিনিধি ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মুশফিকুর রহমান বলেন, 'দুপুরের পর থেকে চাল খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টনে ইনভয়েসভিত্তিক শুল্কায়ন হচ্ছে ৫৩০ মার্কিন ডলার ধরে। এতে প্রতি কেজিতে প্রায় দেড় টাকা হারে অগ্রিম আয়কর দিতে হচ্ছে। আজ সীমিত পরিসরে খালাস হলেও আগামীকাল থেকে খালাসের পরিমাণ অনেক বেশি হবে।'
এ বিষয়ে হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন বলেন, 'গত ১২ আগস্ট থেকে কোনো আমদানিকারক বিল অব এন্ট্রি দাখিল না করায় চাল খালাস বন্ধ ছিল। তবে শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতা সোমবার সমাধান হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে চাল খালাস শুরু হয়েছে। সরকার চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক উঠিয়ে দিয়ে কেবল ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর নির্ধারণ করেছে। ফলে আমদানিকারকদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে চাল আমদানিতে শুল্কহার কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ
তিনি আরও বলেন, 'শুল্ক জটিলতায় ৮৮টি ট্রাকে করে আসা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন চাল বন্দরের পানামা পোর্ট এলাকায় খালাসের অপেক্ষায় ছিল। খালাস না হওয়ায় আমদানিকারকরা চাল বাজারজাত করতে পারছিলেন না, যার প্রভাব বাজারে পড়ার আশঙ্কা ছিল।'