ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র না করলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী লেবাননে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রাখবে। তেল আবিবের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে বৈরুতে শান্তি থাকবে না। এমনকি লেবাননে কোনো শৃঙ্খলা বা স্থিতিশীলতাও থাকবে না।’
বিবৃতিতে কাৎজ বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি চুক্তিগুকে সম্মান করতে হবে। চুক্তি অনুযায়ী যদি তা না করা হয়, তাহলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব।’
ইসরাইল বৃহস্পতিবার রাতে বৈরতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও বহু ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া বিপুল সংখ্যক বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
ইসরাইল দাবি করেছে, লেবাননের রাজধানীতে হিজবুল্লাহর ড্রোন কারখানায় তারা হামলা চালিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেয়নি ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহার আগ মুহূর্তে বৈরুতে ইসরাইলের সিরিজ বোমা হামলা
ইসরাইল জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য ইউএভি ড্রোন উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে যা নভেম্বরের যুদ্ধবিরতির শর্তাবলীর ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, লেবাননে হামলায় ইসরাইলের প্রায় এক ডজন যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে ইসরাইলের হামলায় নয়টি ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এবং আরও কয়েক ডজন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের দফায় দফায় হামলা, প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা
লেবাননের এই সশস্ত্র গোষ্ঠী ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র থাকার কথা অস্বীকার করেছে। গত বছরের ২৭ নভেম্বর যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর বৃহস্পতিবার চতুর্থবারের মতো বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইল।
লেবানন সরকার, আরব দেশ ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, গত সাত মাসে লেবাননে প্রায় প্রতিদিনই ইসরাইল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে।
এদিকে বৃহস্পতিবারের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন। এক ভাষণে তিনি বলেন, একটি পবিত্র ধর্মীয় উৎসবের প্রাক্কালে এই হামলা আন্তর্জাতিক চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া হিজবুল্লাহর আইনপ্রণেতা আলী আম্মার লেবাননের সব রাজনৈতিক শক্তিকে ইসরাইলের হামলার নিন্দা জানানো আহ্বান জানান।
সূত্র: আল জাজিরা
]]>