হিজবুল্লাহর নতুন নেতা নাঈম কাসেম বুধবার বলেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে না নেয়া পর্যন্ত লেবানন ও ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহ লড়াই চালিয়ে যাবে।
টেলিভিশনে রেকর্ড করা এক ভাষণে অজ্ঞাত স্থান থেকে কাসেম বলেন, “ইসরায়েলিরা যদি আগ্রাসন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে আমরা তা মেনে নেব, তবে সেটা হতে হবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য শর্তের ভিত্তিতে।”
তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধবিরতির জন্য ভিক্ষা করবো না, যত সময়ই লাগুক আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো।”
হিজবুল্লাহর নতুন নেতা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার একদিন পর তিনি এ মন্তব্য করেন। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বৈরুতের উপকণ্ঠে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নাঈম কাসেম।
কাসেম তিন দশকের বেশি সময় ধরে নাসরাল্লাহর ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে আলোচনা
আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা লেবানন ও গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন করে চাপ প্রয়োগ শুরু করার সময় কাসেমের এই বক্তব্য এলো। এক বছরের বেশি সময় ধরে হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনী লড়াই করছে।
ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন বলেন, সরকারের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা করছে।
ইসরায়েলের চ্যানেল টুয়েলভ টেলিভিশন জানায়, হিজবুল্লাহর সাথে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইসরায়েলের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছেন।
ইসরায়েলি সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে লিতানি নদীর উত্তরে হিজবুল্লাহকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল। উপরন্তু, ইসরায়েল চায় যে লেবাননের সেনাবাহিনী সীমান্তে মোতায়েন করা হোক, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ ব্যবস্থা এবং তারা আরও চায় হুমকির ক্ষেত্রে ইসরায়েল সামরিকভাবে জবাব দিতে স্বাধীন থাকবে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্ক এবং বিশেষ দূত আমোস হকস্টেইন হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধবিরতির শর্ত নিয়ে আলোচনা করতে নেতানিয়াহু ও অন্যান্য ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করতে বুধবার মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন।