হাসিমুখে কথা বলা যে কারণে সদকার সওয়াব

২ সপ্তাহ আগে
মানুষের সঙ্গে সুন্দর আচরণ করা। এটি সামাজিক বন্ধন ও পরিবারের শান্তি-সমৃদ্ধির জন্য নিয়ামক। হাসিমুখে কথা বলা সুন্নত। এর মাধ্যমে বন্ধন সুদৃঢ় হয়। এটি পারস্পরিক ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং সহমর্মিতার একটি পবিত্র বন্ধন।

মুচকি হাসি সহজেই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। এটি ভ্রাতৃত্ব-বন্ধনের সেতু। মানুষের মন জয় করার সহজ উপায় একচিলতে হাসি।

 

হজরত আবু জার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। তোমার সৎকাজের আদেশ এবং তোমার অসৎকাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। পথহারা লোককে পথের সন্ধান দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ, স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন লোককে সঠিক দৃষ্টি দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। পথ থেকে পাথর, কাঁটা ও হাড় সরানো তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। তোমার বালতি দিয়ে পানি তুলে তোমার ভাইয়ের বালতিতে ঢেলে দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ।’ (তিরমিজি ১৯৫৬)

 

প্রশ্ন হলো, অন্যের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলা কীভাবে সদকা হয়! এর জবাব হলো, সদকার মাধ্যমে যেভাবে মানুষ অন্যের মনে আনন্দকে জাগিয়ে তোলে, অন্যকে আনন্দিত করে তোলে, তেমনি হাসিমুখে কথা বলা, পথহারা লোককে পথ দেখানো, পথের কাঁটা সরিয়ে দেওয়া ইত্যাদি অন্যের উপকার হয়-- এমন যেকোনো কাজের মাধ্যমে অন্যের ভেতর খুশির অনুভূতি তৈরি করা হয়। এর মাধ্যমে অন্যকে আনন্দিত করা হয়।

 

আরও পড়ুন: ওয়াজ মাহফিলে সুদের বিরুদ্ধে যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ


তাই হাসিমুখে কথা বলা সদকাস্বরূপ। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 

 

ধন-সম্পদ দান করার দ্বারা তোমরা ব্যাপকভাবে লোকদের সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হবে না; কিন্তু মুখমণ্ডলের প্রসন্নতা ও প্রফুল্লতা এবং চরিত্র মাধুর্য দ্বারা ব্যাপকভাবে তাদের সন্তুষ্ট করতে পারবে। (বুলুগুল মারাম ১৫৩৪ )

 

হাসিমুখে কথা বলা একটি সামাজিক বন্ধন সৃষ্টি করে। এটি মানুষের মধ্যে ভালোবাসা ও একতা বৃদ্ধি করে। একটি হাসিখুশি সমাজ গঠনে হাসির ভূমিকা অপরিহার্য।

 

আরও পড়ুন: বদর যুদ্ধে সন্তানের শাহাদাতের খবরে আনন্দিত হয়েছিলেন যে মা



হজরত জারির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) বলেন, 

 

ইসলাম গ্রহণ করার পর থেকে কখনো আল্লাহর রসুল (স.) আমাকে তার কাছে যেতে বাধা দেননি এবং যখনই তিনি আমার দিকে তাকাতেন, তখনই মুচকি হাসতেন। (বুখারি ৩০৩৫)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন