শেষ ওভারে রাজশাহীর যখন ১৭ রান দরকার ছিল রাজশাহীর, তখন বোলিংয়ে আসেন হাসান মাহমুদ। পুরো ইনিংসেই অসাধারণ বোলিং করা এই পেসার শেষ ওভারে দিয়েছেন কেবল ৯ রান। তাতে ৭ রানের ব্যবধানে হেরেছে রাজশাহী।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছেন দুই ওপেনার নাইম শেখ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। ২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান করে তারা। চতুর্থ ওভারে নাইম শেখকে ফিরিয়ে রাজশাহীকে প্রথম উইকেট এনে দেন জিশান আলম।
পরের ওভারে তাসকিনের বলে পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে তৃতীয় বলে আউট হন তাসকিন। চারে নেমে কিছু করতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান অ্যালেক্স রসও। ৬০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাওয়ারপ্লে শেষ করে খুলনা।
ধাক্কা সামলে দ্রুত খুলনাকে খেলায় ফিরিয়েছেন আফিফ হোসেন এবং উইল বোসিস্টো। শুরুতে সেট হয়ে ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়িয়েছেন তারা। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ৪২ বলে ৫৬ রান করে আফিফ আউট হলে ভাঙে ১১৩ রানের এই জুটি।
শেষদিকে ১২ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। আর তাতে দলীয় সংগ্রহটা গিয়ে দাঁড়ায় ২০৯। ৩৭ বলে ৫৫ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার উইল বোসিস্টো।
আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় হার চিটাগংয়ের, দাপুটে বরিশাল
রাজশাহীর হয়ে ৩৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। জিশান আলম নিয়েছেন একটি উইকেট।
বড় লক্ষ্যতাড়ায় শুরুটা ভালো হয় রাজশাহীর। ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪৭ রান। ১৫ বলে ৩০ রান করে জিশান আউট হলে ভাঙে সেই জুটি। সপ্তম ওভারে আউট হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হারিস।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৮ রানের জুটি গড়ে রাজশাহীকে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে দেননি বিজয় এবং ইয়াসির আলী। ১৭ বলে ২০ রান করে আবু হায়দার রনির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইয়াসির। এই উইকেটের পর রানের গতিও কিছুটা কমে রাজশাহীর।
প্রায় হারতে বসা ম্যাচে রাজশাহীকে আবারও ফেরান বিজয় এবং রায়ান বার্ল। ৩৭ বলে এউই দুজনের ৭৩ রানের জুটি ম্যাচে রাজশাহীকে চালকের আসনে বসায়। তবে সেটা কাজে লাগাতে পারেনি রাজশাহী। শেষ ১০ বলে ২০ রান নিতে না পেরে হারতে হয় দলটিকে।