আমিরাতের বিপক্ষে শুরুতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল। পরে একটি ম্যাচ যোগ হয়। ১-১ সমতা থাকার কারণে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়ায় সিরিজ নির্ধারণী।
শারজাহ স্টেডিয়ামে এ দিন ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৪৯ রান যোগ করতেই টপ-অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়ে বসে সফরকারীরা।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ২৯ ধাপ এগোলেন তানজিদ তামিম
শুরু থেকেই আসা যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন টাইগার ব্যাটাররা। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন আগের ম্যাচের হাফ-সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এ দিনও বড় স্কোরের দিকেই এগোচ্ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৪০ রান করেই বিদায় নিতে হয় তাকে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমন এ দিন গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন। অধিনায়ক লিটন দাসও বড় করতে পারেননি তার ইনিংস। ১০ বলে ১৪ রান করেই বিদায় নেন তিনি। আগের ম্যাচে ঝোড়ো ব্যাটিং করা তাওহীদ হৃদয় আজ ফিরেছেন শূন্য রান করে। মাহেদী হাসান ফেরেন ৯ বলে ২ রান করে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান সিরিজে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা আছে: ফাহিম
স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান জমা করতেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটওয়ারী। ১২ বলে ৯ রান করে শামীম পাটওয়ারী আউট হলে ব্যর্থ হয় এই জুটি।
রিশাদ হোসেন ফেরেন কোনো রান না করেই। স্কোরবোর্ডে ৭১ রান জমা করতেই ৭ উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন জাকের আলী। এক প্রন্তা আগলে রেখে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান জাকের।
শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৪১ রান করা জাকের বড় শট খেলতে গিয়ে সাঘির খানের বলে বদলি ফিল্ডার মুহাম্মদ জুহাইব’র হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। শেষ উইকেট জুটিতে ১৫ বলে ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন হাসান মাহমুদ। আর তাতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
]]>