সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ট্রমা সেন্টারের ইনচার্জ ডা. অনুরাগ ঢাকড় জানান, নিউরো আইসিইউতে ১১ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন, এ সময় সংরক্ষণাগারে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, অগ্নিকাণ্ডের পর হাসপাতালজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় পুরো ওয়ার্ড ধোঁয়ায় ভরা যায়। আগুনে বিভিন্ন নথিপত্র, আইসিইউ যন্ত্রপাতি, রক্তের নমুনাসহ অনেক কিছু পুড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতে সিরাপ খেয়ে ১১ শিশুর মৃত্যু, তামিলনাড়ুতে বিক্রি নিষিদ্ধ
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতরা হলেন পিন্টু (সিকার), দিলীপ (আন্ধি, জয়পুর), শ্রীনাথ (ভারতপুর), রুক্মণি (ভারতপুর), কুশমা (ভারতপুর), সর্বেশ (আগ্রা, উত্তরপ্রদেশ), বাহাদুর (সাঙ্গানার, জয়পুর) এবং দিগম্বর ভার্মা।
হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় বিকাশ পিটিআইকে বলেন, আগুন লাগার পর যতটা সম্ভব আমরা রোগীদের বাঁচানোর চেষ্টা করি। আমরা অপারেশন থিয়েটারে ছিলাম, খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে যাই। তিন থেকে চারজন রোগীকে বের করে আনতে পেরেছিলাম, কিন্তু আগুন তীব্র হওয়ায় পরে আর ভেতরে ঢোকা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে প্রথমে ভবনে প্রবেশ করতে পারেনি। পরে দমকলকর্মীরা ভবনের বিপরীত পাশে জানালা ভেঙে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: অন্যের ওপর দায় চাপানোর স্বভাব আছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের: ভারত
ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জোগারাম প্যাটেল এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জওহর সিং বেধাম ট্রমা সেন্টারে পৌঁছে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।
প্যাটেল ও বেধাম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুই রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেন, আগুন লাগার সময় হাসপাতালের কর্মীরা পালিয়ে যান।
একজন স্বজন বলেন, ‘আমরা আগুনের ধোঁয়া দেখে স্টাফদের জানাই, কিন্তু তারা গুরুত্ব দেয়নি। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তারা পালিয়ে যায়। এখন আমাদের রোগীদের অবস্থা কী, কেউ বলছে না।’
]]>