হামলার ব্যাপারে ইরান বিস্তারিত জানাবে

২ সপ্তাহ আগে
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলার কথা নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান- হামলায় এই তিন স্থাপনার মধ্যে প্রথমটি ‘নাই’ হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু ইরান বলেছে, শক্রুর হামলায় তিন পারমাণবিক স্থাপনার তেমন ক্ষতি হয়নি।

ফোরদোর একটি অংশে হামলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করে ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফের উপদেষ্টা মাহদি মোহাম্মদী বলেছেন, ফোরদোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালাতে পারে, ইরান আগে থেকেই তা জানতে পেরেছিল। মোহাম্মদী একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, এই স্থানটি (ফোরদো) অনেক আগেই খালি করা হয়েছে এবং আক্রমণে কোনো অপূরনীয় ক্ষতি হয়নি।


ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ফোরদোর আশাপাশের নাগরিকরা বড় কোনো বিস্ফোরণ টের পাননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক। হামলার বিষয়ে ইরানের বিশেষজ্ঞরা বিস্তারিত জানাবেন।


স্থানীয় সময় রোববার (২২ জুন) ভোরে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এটাকে সফল বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা— ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে খুবই সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।’


আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা’ বাড়াচ্ছে: জাতিসংঘ মহাসচিব


নিন্দা জানিয়ে এই হামলাকে জঘন্য কাজ বলে আখ্যায়িত করেছে ইরান। দেশটির পারমাণবিক এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিন পারমাণবিক স্থাপনায় শক্রুর হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে, বিশেষ করে নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফেরেশন চুক্তি।


এই হামলার কিছুটা দায় ইরান দিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ)। নিন্দার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইএইএর ‘উদাসীনতা’, এমনকি ‘সহযোগিতার’ মধ্যে আক্রমণগুলো ঘটছে। ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা মহান ইরানি জাতিকে আশ্বস্ত করছে যে, শত্রুদের অশুভ ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও হাজার হাজার বিপ্লবী এবং বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞের প্রচেষ্টায় তারা পারমাণবিক শহীদদের রক্তের ফলস্বরূপ এই জাতীয় শিল্পের উন্নয়নের পথকে থামতে দেবে না।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন