বুধবার (৪ মে) ৮ জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি (৪ জুন ২০২৫) থেকে মিনা প্রান্তরে সমবেত হবেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রায় ১৫ লাখেরও বেশি হাজি। এই দিন থেকেই শুরু হবে হজের প্রথম আনুষ্ঠানিক দিন, যাকে বলা হয় ইয়াওমুত তারবিইয়াহ।
এর পরদিন, বৃহস্পতিবার, ৯ জিলহজ (৫ জুন) সুবহে সাদিকের সময় হাজিরা আরাফার ময়দানের উদ্দেশে রওনা হবেন। সেখানে তারা হজের মূল রোকন ‘ওকুফে আরাফা’ পালন করবেন, যা হজের অন্যতম ফরজ অংশ।
সৌদি প্রেস এজেন্সি সম্প্রচারিত ড্রোন ও আকাশপথের ছবিতে দেখা গেছে, রাতের অন্ধকারে মিনার আকাশ আলোয় ঝলমল করছে। সারিবদ্ধ উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন তাঁবুগুলো হাজিদের বরণে প্রস্তুত। মিনা, মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত একটি উপত্যকা, যা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
এই এলাকায় হাজার হাজার শ্বেতবর্ণ তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে, যেগুলো অগ্নিনির্বাপণযোগ্য এবং নিরাপদ, যেখানে হাজিদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। মিনার তাঁবুগুলোতে একসঙ্গে প্রায় ২৬ লাখ হাজি অবস্থান করতে পারেন। বিস্তৃত সড়কপথ, আধুনিক সেতু ও সুড়ঙ্গনির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা হজের তিন গুরুত্বপূর্ণ স্থান—মিনা, আরাফা ও মুযদালিফার সঙ্গে সহজ যাতায়াত নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: সৌদি পৌঁছেছেন ৮৭ হাজার ১৫৭ হজযাত্রী
চলতি বছর ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের জন্য কোটা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১,২৭,১৯৮ জন। এদের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭,১৫৭ জন হাজি সৌদি আরবে পৌঁছেছেন মোট ২২৪টি ফ্লাইটে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৫,২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৮১,৯০০ জন হাজি।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ১৭ জন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে বার্ধক্যজনিত ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট পরিচালনা শেষ হয়েছে ৩১ মে ২০২৫ তারিখে।
সবমিলিয়ে, হজের পবিত্রতম এই দিনগুলো ঘিরে সৌদি আরবে এখন বিরাজ করছে ধর্মীয় আবেগ, নিরাপত্তা ও সংগঠনের এক অনন্য পরিবেশ, যেখানে লাখো মানুষের আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে মিনার প্রান্তর থেকেই। সূত্র: সৌদি গেজেট
]]>