কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা। এখানকার ঘোড়াউত্রা নদীর দুই তীরে চোখে পড়ে শত শত হাঁসের খামার। নদীর তীরে জাল ও বাঁশের খুঁটি দিয়ে ভাসানর পানিতে গড়ে তোলা হয়েছে অস্থায়ী সব খামার।
শুধু নিকলীই নয়, হাওর বিস্তৃত ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, তাড়াইলসহ বিভিন্ন উপজেলায় বর্ষাকালে বিভিন্ন নদ-নদী ও হাওরে পালন করা হয় দেশি প্রজাতির হাঁস। এতে কম পুঁজি খাটিয়ে বেশি লাভ পান খামারিরা। তারা বলেন, এসব খামারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান।
খামারিরা বলেন, পানির ওপর জাল দিয়ে ছোট ছোট খামার তৈরি করে হাঁস ছেড়ে দেয়া হয়। খাদ্য হিসেবে দেয়া হয় শামুক ও দানাদার খাবার। সারাদিন পানিতে থাকার পর রাতের বেলা নদীর তীরে তৈরি করা ছোট ছোট খুপরি ঘরে হাঁস রাখা হয়। হাওরের এসব হাঁসের মাংসের কদর রয়েছে সারাদেশে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে গড়ে উঠেছে 'হাঁস গ্রাম', স্বাবলম্বী দুই শতাধিক পরিবার
মাংস ও ডিসের ব্যাপক চাহিদার পাশাপাশি বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় বাড়তি লাভের মুখ দেখছে খামারিরা। হাওরের বিভিন্ন খামারে প্রতি বছর দেড় থেকে দুই কোটি হাঁসের ডিম পাওয়া যায়। জেলার চাহিদা মিটিয়েও সারা দেশের মোট চাহিদার ২৫ ভাগ মেটানো হয় হাওরের ডিম থেকে।
তবে খামারে রোগ-বালাই দেখা দিলে প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে খুব একটা সহযোগিতা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ খামারিদের। তারা বলছেন, হাঁসের রোগ হলে হাসপাতাল থেকে কোনো সহায়তা মেলে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, হাওরের ভাসান পানিতে উৎপাদিত হাঁসের মাংস ও ডিম নির্ভেজাল ও সুস্বাদু। এর পালন বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, সরকারি ভ্যাকসিনগুলো যাতে খামারিরা নির্ধারিত দামেই পায়, সেজন্য চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপের আওতায় খামারিদের সহযোগিতা করা হয়।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের হিসাব মতে, কিশোরগঞ্জে প্রায় ২ হাজার খামারে ২৫ লাখ হাঁস লালন-পালন হচ্ছে। এসব খামার থেকে সুবিধা ভোগ করছে ১২ হাজার পরিবার। হাঁসের ডিমকে কেন্দ্র করে তাড়াইল উপজেলার দামিহা এলাকায় গড়ে উঠেছে শতাধিক হ্যাচারি।
]]>
 ১ সপ্তাহে আগে
                        ৬
                        ১ সপ্তাহে আগে
                        ৬
                    







 Bengali (BD)  ·
                        Bengali (BD)  ·        English (US)  ·
                        English (US)  ·