হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে লুৎফুজ্জামান বাবর

১ সপ্তাহে আগে
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সন্ধ্যায় বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।

 

জানা যায়, সন্ধ্যায় নেতাকর্মীদের মতবিনিময়ের সময় হঠাৎ বুকের বাঁ পাশে ব্যথা অনুভব হয় তার। পরে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেয়া হয়।

 

তাকে হাসপাতালে আনা তার কর্মী ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীরা জানান, রোববার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করেই বুকের বা পাশে কথা অনুভব করেন এবং একই সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা ও অনুভব করেন। পরে রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স আনিয়ে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

এর আগে সব মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় গত ১৬ জানুয়ারি দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারামুক্ত হয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। গত ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে বহুল আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় করা মামলার সাজা থেকে খালাস পান বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজন। ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

 

আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর কারামুক্ত বাবর

 

এছাড়া গত ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় দায়ের হওয়া চোরাচালান মামলায় ফাঁসির সাজা থেকে খালাস পান বাবর।

 

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সিইউএফএল ঘাট থেকে আটক করা হয় ১০ ট্রাকভর্তি অস্ত্রের চালান। ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। এর মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয় এবং একটিতে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার নথিপত্র হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয় এবং তা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। একই সময়ে সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা।

 

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকার পতন হওয়ার পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে একে একে খালাস পান বাবর। এর মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন