এই প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে একজন মুমিনের উচিত নিজেকে পাপ ও গুনাহ থেকে সর্বদা দূরে রাখা এবং জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। নিচে কিছু সাধারণ ভুল তুলে ধরা হলো, যেগুলো হজের পর পরিহার করা উচিত।
‘হাজি’ উপাধি নিয়ে অহংকার
হজ শেষে কেউ যদি ‘হাজি’ নামে পরিচিত হন, তা স্বাভাবিক। কিন্তু এই উপাধি জোর করে অন্যদের দিয়ে বলানো, বা এর মাধ্যমে অহংকার প্রকাশ করা অনুচিত। ইসলাম বিনয় ও নম্রতার ধর্ম। গর্ব-অহংকার এখানে নিন্দনীয়।
হজ করলেই সব গুনাহ মাফ হয় এমন ধারণা করা
হাদিসে হজের মাধ্যমে গুনাহ মাফের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা ‘হজে মাবরুর’ অর্থাৎ কবুল হজপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্যই প্রযোজ্য। কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারেন না, তার হজ কবুল হয়েছে। সুতরাং হজ করার পর পাপ-পঙ্কিলতায় জড়িয়ে পড়া বা ইচ্ছেমতো গুনাহে লিপ্ত হওয়া মারাত্মক ভুল।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন ৪ হাজার ৪০৮ হাজি
হজের পর গুনাহ থেকে বিরত না থাকা
যদি কেউ হজ করার পরও পুরানো অভ্যাসে ফিরে যান, পাপ কাজ ছাড়তে না পারেন, কিংবা ইবাদতে গাফিলতি করেন তবে তা হতে পারে তার হজ কবুল না হওয়ার আলামত। হজের প্রকৃত শিক্ষা হলো আত্মিক ও নৈতিক উন্নয়ন। তাই হজের পর একজন মুসলমানের জীবন হওয়া উচিত আরও শুদ্ধ ও আলোকিত।
ইহরাম পরে ঘরে ফেরা
১০ জিলহজে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়ে গেলে হজযাত্রীদের স্বাভাবিক পোশাকে ফিরে আসা উত্তম। কিছু মানুষ হজ শেষে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ইহরাম পরে থাকেন, যা সুন্নাহ পরিপন্থি এবং নিজের ওপর অপ্রয়োজনীয় কষ্ট চাপানোর শামিল। এটি আত্মপ্রদর্শনের ইঙ্গিতও দিতে পারে, যা ইসলাম সমর্থন করে না।
আরও পড়ুন: এবারের হজে আরাফাতের ময়দানে জন্ম নিলো আফ্রিকান শিশু
হজ যেন শুধু ভ্রমণ না হয়
হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও জীবনের জন্য এক নতুন মোড়। তাই এটিকে শুধুই একটি সফর হিসেবে না দেখে, জীবনের দিকনির্দেশনা হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। হজ যদি জীবনে নৈতিক ও আত্মিক পরিবর্তন আনে তবেই তা হজে মাবরুরের মর্যাদা পাবে।
নবীজির (স.) কবরের ওপর শপথ
অনেকে মদিনায় গিয়ে রসুলুল্লাহ (স.)-এর কবর জিয়ারত করার পর শপথ করে বলেন, ‘আমি সেই নবীর কসম করে বলছি, যার কবর ছুঁয়েছি।’ অথচ ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, শপথ শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার নামে করা বৈধ। অন্য কারও নামে শপথ করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
]]>