হকারদের দখলে রাজধানীর বেশিরভাগ ফুটওভার ব্রিজ, ভোগান্তিতে পথচারীরা

৩ সপ্তাহ আগে
রাজধানীর বেশিরভাগ ফুটওভার ব্রিজ ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের দখলে। কোথাও বা অচল পড়ে আছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চলন্ত সিঁড়ি। একেতো হকারদের দৌরাত্ম্য তার পর ফুটওভার ব্রিজের যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা। উত্তর সিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায় চাপাচ্ছেন সিটি করপোরেশনেরই প্রশাসক এবং স্থানীর রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর। আর দক্ষিণের ভাষ্য হলো, গলদ আছে পুরো সিস্টেমে।

রাজধানীর ফার্মগেটের ফুটওভার ব্রিজ যেন আস্ত একটা বাজার। কাঁচাবাজার বাদে সব ধরনের পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছেন হকাররা। স্যান্ডেল থেকে শুরু করে কানের দুল সবই পাওয়া যায় এক ছাদের নিচে।

 

তবে শুধু ফার্মগেট নয়, রাজধানীর বেশিরভাগ ফুটওভার ব্রিজের দশাই এ রকম। শুধু দখলই নয়, ফুটওভার ব্রিজগুলোর সিঁড়ি জুড়ে যেখানে সেখানে পড়ে আছে ময়লা-আবর্জনা। অনেক জায়গায় গড়ে উঠেছে ছিন্নমূল মানুষের আবাসস্থল।

 

পথচারীরা বলেন, ফুটওভার ব্রিজগুলোর বেশিরভাগই এখন হকারদের দখলে। দেখে বোঝার উপায় নেই- এটি চলাচলের রাস্তা নাকি বাজার।

 

আরও পড়ুন: পার্কিংয়ের নামে রাজধানীজুড়ে চাঁদাবাজির মহোৎসব!

 

অবৈধভাবে দোকান বসানোর কথা স্বীকার করে হকারদের দাবি, টাকা-পয়সা না থাকায় দোকান নেয়া সম্ভব না সবার পক্ষে। নির্দিষ্ট জায়গার অভাবে অনেকটা বাধ্য হয়েই ফুটওভার ব্রিজে দোকান নিয়ে বসতে হয়।

 

 

একদিকে যখন রাজধানীর বেশিরভাগ ফুটওভার ব্রিজ হকারদের দখলে অন্যদিকে তখন চলন্ত সিঁড়িযুক্ত ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণেই যেন দায় শেষ কর্তৃপক্ষের। পরবর্তী সময়ে সেই ফুটওভার ব্রিজগুলোতে থাকে না কোনও তদারকি।

 

পথচারীরা বলেন, বেশিরভাগ আধুনিক সিঁড়ি অচল অবস্থায় পড়ে আছে। এমনকি ব্রিজগুলোকেও নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় না। এতে সেগুলোর মেয়াদ ফুরোনোর আগেই নষ্ট হয়ে যায়।

 

একেতো ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে পথচারীদের অনীহা তার ওপর এমন দশার কারণে ব্যস্ত সড়ক দিয়েই পারাপার চলে নিত্যদিন। তবে তদারকির অভাব ও জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান প্রকৌশলী দিচ্ছেন ভিন্ন ব্যাখ্যা।

 

আরও পড়ুন: রাজধানীর সড়ক যেন চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য!

 

ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন বলেন, হকাররা এলাকার স্থানীয় কিছু মানুষের ছত্রছায়ায় দোকান চালাচ্ছে। সিটি করপোরেশন কোনো বরাদ্দ দেয়নি। এটি অবৈধ। এটি বন্ধে উদ্যোগ সিটি করপোরেশনেরই নেয়ার কথা। তবে জনবল সংকটের অভাবে হচ্ছে না। এর উদ্যোগ আমাদেরকেই নিতে হবে।

 

অন্যদিকে কারিগরি ত্রুটি, ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার অভাবকে দায়ী করছেন দক্ষিণের দায়িত্বপ্রাপ্তরাও। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, এটি বন্ধে প্রধান দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। এটিতে কোনো দ্বিমত নেই।

 

সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নাগরিকরাও বলছেন, বিকল্প ব্যবস্থা না করে ফুটওভার ব্রিজে হকার উচ্ছেদে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন