গেল কয়েকদিন দেশের ফুটবল নিয়ে সমর্থকরা মেতে উঠেছিলেন নবজাগরণের উৎসবে। হামজা, সমিত, তপু বর্মণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার কথা ছিল দেশের ফুটবলের রক্ষণের অতন্দ্রপ্রহরী বিশ্বনাথ ঘোষের। ২০১৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকেই ছিলেন দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। লাল সবুজের অনেক জয়ের বড় কান্ডারী ছিরলেন ২৫ বছর বয়সী বিশ্বনাথ।
সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ দলের হয়ে সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ভুটানের বিপক্ষে। এরপরেই ক্যারিয়ারে নেমে আসে অন্ধকার। পেশির চোটে পড়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে পারলেও, পরের ম্যাচ আর খেলতে পারেননি। দুই ম্যাচের একটিতে বাংলাদেশ জিতলেও অন্যটিতে হেরে যায়। জাতীয় দলের মতো ঘরোয়া লিগেও বিশ্বনাথের শূন্যতায় ভুগতে হয়েছে বসুন্ধরা কিংসকে। এফসি চ্যালেঞ্জ লিগ, জাতীয় দলের হয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে নভেম্বরে দুই ফিফা প্রীতি ম্যাচ সহ মৌসুমের বাকি ম্যাচগুলোতে আর মাঠে নামতে পারেননি বিশ্বনাথ।
গত ডিসেম্বরে থাইল্যান্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। দেশরে ফুটবলের এই বাক বদলের সঙ্গী হতে না পারা কষ্ট দেয় তাকে।
বিশ্বনাথ বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলাটা আসলে ভাগ্যের ব্যাপার, গর্বের বিষয়। ইনজুরি জীবনের অংশ। এটা প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই আসবে। এখান থেকে ওভারকাম করতে হবে। যদি সুস্থ থাকতাম, তাহলে হয়তো মাঠে থাকতাম কিংবা ম্যাচ খেলতাম। এটা আসলে খারাপ লাগে, এখন মাঠের বাইরে থেকে খেলা দেখি।’
আরও পড়ুন: কিছুটা হতাশ, তবুও এই বাংলাদেশ নিয়ে গর্বিত সমিত
পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় প্রতিদিনই নিজেকে ফিরে পেতে লড়াই করে যাচ্ছেন বিশ্বনাথ। আশা রাখেন, নতুন মৌসুমে ঘরোয়া লিগে খেলার পাশাপাশি অক্টোবরেই জাতীয় দলে ফেরার।
এ ডিফেন্ডার বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে রিহ্যাব শুরু করেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে তাড়াতাড়ি মাঠে ফেরার আশা করছি। চিকিৎসকের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সবকিছু করছি।’
আরও পড়ুন: দেশ ছাড়ার আগে যা বললেন হামজা
টাঙ্গাইলে বেড়ে ওঠা বিশ্বনাথ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৪২ টি ম্যাচ। ক্লাব ফটুবলে ভিক্টোরিয়ার হয়ে শুরু। বসুন্ধরায় যোগ দেওয়ার আগে খেলেছেন মোহামেডান ও শেখ রাসেলে।
]]>