সড়ক দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া সেই নবজাতকের মৃত্যু

৩ সপ্তাহ আগে
বরগুনার আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মা, দাদি ও নানার মৃত্যুর পর অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া সেই নবজাতকটি মারা গেছে। শনিবার (২১ জুন) রাত ৯টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ওই শিশুটির মৃত্যু হয়।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ওয়াহিদ শামিম নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তার মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ছাড়া, দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় পানির মধ্যে থাকায় তার শরীরের তাপমাত্র কম ছিল।


আরও পড়ুন: বরগুনায় মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২


পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বলইবুনিয়াা গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মো. জাহিদুল ইসলাম (৩৫) এবং  মোছাদ্দিকার (৩০) ঘরে স্বাভাকিভাবে জন্ম নেয় এই কন্যা শিশু। পরদিন শনিবার দুপুরে শিশুটির চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয় পরিবারটি।


দুর্ঘটনায় শিশুটির মা মোসাদ্দিকা বেগম (৩০), নানা মাওলানা মো. আজিজুল হক (৭০) এবং শিশুর দাদি খালেদা বেগম (৫৫) মারা যান। একই ঘটনায় মাওলানা মো. কুদ্দুস (৬০) ও অটোচালক আব্দুল ওহাব মিয়া (৫৫) পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বাসচাপায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ২


পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ওয়াহিদ শামিম বলেন, ‘শিশুটিকে যখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়, তখনই তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত ছিল। দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা পানিতে থাকার কারণে তার শরীরে হাইপোথার্মিয়ার লক্ষণও ছিল। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন