নিহত মো. শাকিল শহরের শিববাট্টি এলাকার মৃত হানিফের ছেলে। শাকিল রিকশাচালক ছিলেন।
এ দিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত জিতু ইসলামসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক জিতু বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর।
নিহত শাকিলের মামা সিফাত হোসেন বলেন, ‘আমার ভাগ্নে শাকিলের মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো জিতু ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে জিতু বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। এতে শাকিল শনিবার সকালে গিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং জিতুকে একটা থাপ্পড়ও দেন। পরে সকালেই জিতু ও তার সহযোগীরা শাকিলকে বেধরক মারধর করেন। তখন জিতুদের কাছ থেকে পালিয়ে এসে বাড়িতে অবস্থান করেন। এরপর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে জিতু ৬/৭ মোটরসাইকেলটি নিয়ে আমার ভাগ্নে শাকিলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে দিনদুপুরে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার একঘণ্টা পর জানতে পারি ফুলবাড়ি মধ্যপাড়া এলাকায় নদীর ধারে শাকিল রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরকার মুকুল বলেন, ‘জিতু জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক। জিতুর অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ‘শাকিল হত্যার ঘটনায় জিতুসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’
]]>