সম্প্রতি সময়ের বিনোদন আড্ডার বিশেষ সাক্ষাৎকারে ডলি বলেন,
পারিশ্রমিক তো আর হিরো, হিরোইনদের মতো পাই না। মার অভিনয় করে যা পাই সে টাকাও ঠিকমতো পাইনি। ৩৪ লাখ টাকা এখনও ইন্ডাস্ট্রিতে পাওনা আছে।
একটু ক্ষোভ প্রকাশ করেই অভিনেত্রী বলেন,
যখন আমার স্বামীর ক্যানসার ধরা পড়ে, আমার পাওনা টাকা পরিচালক, প্রযোজকদের কাছে চেয়েছি। তখন কেঁদে কেঁদে অনেককে বলেছি অন্তত ইন্ডাস্ট্রি থেকে কিছু টাকা তুলে দেন ব্যাংককে ক্যানসারের চিকিৎসাটা করাবো, পাইনি।
অভিনেত্রী আরও বলেন,
ছবি রিলিজ হয়ে গেছে, টাকা পাইনি। এক পরিচালকের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে আরেক পরিচালকের কাছে সাহায্য চেয়েছি। আমি কিন্তু সে পরিচালকের কাছেও টাকা পাই। কিন্তু সে আমার ফোন তো ধরেইনি, যোগাযোগও করেনি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন,
ইন্ডাস্ট্রি থেকে পাওনা টাকা পাইনি, এক কড়ি পয়সাও সাহায্য পাইনি। কেউ কখনও বলেনি, এমন সমস্যায় অন্তত ১০ হাজার টাকা ডলিকে গিয়ে দেয়ে আসি। ২০১১ সালের পর আমি ইন্ডাস্ট্রিতে আর কাজ করিনি।
এরপর ডলি বলেন,
যখন একেবারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, অসহায় হয়ে পড়ি, বুঝতে পারি আর পারবো না, তখন ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একজনের ওপর সবকিছু ছেড়ে দিই। আমি আমার ৩৪ লাখ পাওনা টাকা তার ওপরই ছেড়ে দিয়েছি। আমি কাউকে কখনও বদ দোয়া করি না। কিন্তু টাকাটা যদি আমার হকের, এর একটা বিচার হবেই।
আরও পড়ুন: বাবা হারালেন মিষ্টি জান্নাত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অবস্থায় নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদের মাধ্যমে ‘নাট্যচক্র’ সংগঠনের সদস্য হন ডলি জহুর। সে সংগঠনের পর অভিনেতা মামুনুর রশীদের বাংলা থিয়েটারে মঞ্চ অভিনয় করেন। এরপর সত্তর দশকে টেলিভিশন অভিনয় জগতে পা রাখেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব, ছেলেকে নিয়ে সেখানে যাচ্ছেন বুবলী
একে একে সাফল্য পাওয়ায় কাজ করেন রুপালি পর্দাতেও। অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। তবে এ অভিনয় জীবনের জার্নিটা মোটেও সহজ ছিল না তার। প্রয়োজনের সময় পাওনা টাকা পেতে অনেকের সাহায্য চেয়েছেন। এত বছরেও সে টাকা ফেরত পাননি। এরজন্য অবশ্য হতাশ হননি অভিনেত্রী। বরং স্রষ্টার ওপর বেড়েছে অগাধ বিশ্বাস।
]]>