আব্দুল জব্বার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শাখা কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের হরিহরা গ্রামের বাসিন্দ।
স্থানীয়রা জানায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বড় স্ত্রী মিষ্টি খাতুনকে নিয়ে শহরের আরাপপুরে বসবাস করেন। করোনার সময় সাথী নামে এক স্কুলশিক্ষককে বিয়ে করেন তিনি। শহরের কলাবাগান এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন সাথী।
রোববার রাতে ছোট বউয়ের বাসায় যান আব্দুল জব্বার। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার সকালে ছোট বউয়ের বাসায় চলে যান বড় বউ। সকাল থেকে দুজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলে। দুপুরে দুই বউয়ের ঝগড়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন ইবির ওই কর্মকর্তা। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী ও সতিন ঢাকায় গ্রেফতার
আব্দুল জব্বারের মৃত্যু হলে দুই স্ত্রীকে আটক করে রাখেন এলাকাবাসী। পরে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আঘাত জনিত কারণ নাকি স্ট্রোকে মৃত্যু তার সঠিক তদন্তের দাবি স্বজনদের।
স্বজনরা বলেন, আব্দুল জব্বারের ছোট বউয়ের বাসায় ছিলেন। সেখানে বড় বউ যাওয়ার পর ঝামেলা শুরু হয়। দুপুরে অসুস্থ হয়ে গেলে হাসপাতালে নেয়ার পর আব্দুল জব্বার মারা যান। আমরা যেহেতু সেখানে ছিলাম না বা দেখিনি কীভাবে মারা গেলেন। তাই আমরা মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই।
আরও পড়ুন: দুই সতিনের মাদকের সিন্ডিকেট!
মামাতো ভাই অ্যাড. আব্দুল খালেক সাগর বলেন, ‘শুনেছি আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। যদি মৃত্যুর কারণ আঘাত হয়ে থাকে, তাহলে এর সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। আর যদি স্ট্রোকে মৃত্যু হয় তাহলে আমরা সেটাও জানতে চাই।’
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আব্দুল জব্বারের মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে, তাই আমরা মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলেই সঠিক কারণ বেরিয়ে আসবে। যদি আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু হয়, তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’