বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে উপজেলার দেবীগঞ্জ পৌরসভার পাকুড়িতলায় দেবীগঞ্জ-বোদা মহাসড়কে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটার পর একজন মারা গেলেও, চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন, শ্যামলী রাণী (৩০), ভরসা রাণী (৩৫) ও দেবশ্রী রাণী (৭)। নিহত শ্যামলী রাণীর বাড়ি বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের নয়াদিঘী এলাকায়। তিনি ওই এলাকার তাপস কুমার রায়ের স্ত্রী এবং দেবশ্রী রাণী দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের রাজারহাট কালিগঞ্জ এলাকার হরেন্দ্র নাথ রায়ের মেয়ে।
এছাড়া অপর নিহত ভরসা রাণী উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের জোতভূবণপাড়া এলাকার অরুণ কুমার রায়ের স্ত্রী।
আহতরা হলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের লক্ষীর হাট এলাকার অজয় কুমার রায় (৬০), উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের জোতভূবণ পাড়া এলাকার খোকা বাবু (৫০), বিমলা (৫০) ও দণ্ডপাল ইউনিয়নের রাজার হাট কালিগঞ্জ এলাকার সৌরভ (১১)।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতা নিহত
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বজনদের নিয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ এলাকা থেকে মৃত বেয়াইনকে সৎকার কাজ শেষে ইজিবাইকে ফিরছিলেন উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের লক্ষীর হাট এলাকার অজয় কুমার রায়। পরে তারা দেবীগঞ্জ পৌর এলাকার পাকুড়িতলায় পৌঁছালে বোদা থেকে দেবীগঞ্জগামী একটি ট্রাক তাদের সজোরে ধাক্কা দিলে ইজিবাইকের চালক সহ ১০ জন যাত্রী মহাসড়কের পাশে ছিটকে পড়েন। এসময় ইজিবাইকের সাতজন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
এঘটনায় যাত্রীরা মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত পেয়ে তাদের রক্ত ঝরতে থাকে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি দায়িত্বরত চিকিৎসক শ্যামলী রাণীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে গুরুতর আহত অন্য ছয়জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়।
পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেবশ্রী রাণী নামে এক শিশুর ও ভরসা রাণী নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ইজিবাইকের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু
এদিকে, ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয়ে যান। পরে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে।
দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে ছুটে যান। ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন। এঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।