শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বড়পই গ্রামের প্রসাদপুর বাজার এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নুসরাত মান্দা থানা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাড়ি পত্নীতলা উপজেলার কাটাবাড়ি গ্রামে। বাবা আকবর আলীর সঙ্গে সে গত দুই মাস ধরে ভাড়া থাকছিল প্রসাদপুর বাজারের একটি বাসায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাবা আকবর আলী গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করে সেই স্ত্রীকে ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন। এরপর তিনি প্রথম স্ত্রী—নুসরাতের মাকে তালাক দেন। মায়ের অপমান, ঘরের অশান্তি, আর বাবার এমন আচরণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে নুসরাত। সেই যন্ত্রণা নিয়েই শনিবার দুপুরে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। মৃত্যুর আগে একটি চিঠি লিখে গেছে, যেখানে তার হৃদয়ের ক্ষতগুলো ফুটে উঠেছে—যা আর কেউ পড়বে না, বা পড়লেও ফিরিয়ে আনতে পারবে না তাকে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক নুসরাতের বাবা আকবর আলী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে নৌকা উল্টে তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ: রফিকুলের মরদেহ উদ্ধার
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনসুর রহমান বলেন, সংবাদ পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
]]>