সেপ্টেম্বরে পোশাক রফতানি কমেছে ৫.৬৬ শতাংশ

৫ দিন আগে
দেশের রফতানি আয়ের ধারায় সেপ্টেম্বরে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে পোশাক রফতানি কমেছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। ২০২৪ সালে যেখানে সেপ্টেম্বর মাসে পোশাক রফতানি ছিল ৩ হাজার ১০ মিলিয়ন ডলার, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে তা কমে ২ হাজার ৮৩৯ ডলারে নেমে এসেছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।


ইপিবি জানিয়েছে, দেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাকের (আরএমজি) রফতানি হ্রাসেই সামগ্রিক রফতানি আয় কমে এসেছে।


তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে, কারণ বেশিরভাগ ক্রেতাই নতুন করে কোনো অর্ডার দিচ্ছে না। তারা এখন অতিরিক্ত ২০ শতাংশ রেসিপ্রোক‍্যাল শুল্কের একটি অংশ বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।


রফতানিকারকদের পক্ষে এই অতিরিক্ত চাপ বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়, কারণ তারা ইতোমধ্যেই প্রাথমিক শুল্ক সমন্বয় এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাবসহ বিভিন্ন ধরনের চাপে রয়েছে।


আরও পড়ুন: ২০২৫-২৬ অর্থবছর /তৈরি পোশাক রফতানি আয় বাড়ল ৯.৬৩ শতাংশ


এছাড়া, বাংলাদেশের রফতানিকারকরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং অন্যান্য বাজারেও কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে, কারণ চীনা ও ভারতীয় প্রস্তুতকারকরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এইসব বাজারে রফতানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।


বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের হ্রাসটি মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার ধীরগতি এবং মূল্য প্রতিযোগিতার কারণে। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের মোট রফতানি বৃদ্ধি কিছুটা আশার সংকেত দিচ্ছে।’

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, তৈরি পোশাক খাতের পারফরম্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ ও অর্থনীতির সামগ্রিক দৃশ্যপটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি পোশাকের প্রতিযোগিতা বজায় রাখার জন্য মান, ডিজাইন ও কস্ট কন্ট্রোলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন