রোববার (৫ অক্টোবর) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত সেপ্টেম্বর মাসে কমেছে দেশের রফতানি আয়। ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রফতানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৮০ কোটি ২৮ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাত
সেপ্টেম্বর মাসে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রফতানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৮৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলারে। আর ২০২৪ সালের একই সময়ে এ আয় ছিল ৩০১ কোটি ১ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয়ের মধ্যে ১৬৩ কোটি ১ লাখ ডলার এসেছে নিটওয়্যার রফতানি থেকে, যা বছর ব্যবধানে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে। এছাড়া ১২০ কোটি ৯৬ লাখ ডলার এসেছে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে কৃষি পণ্য এবং হোম টেক্সটাইলের রফতানি কমলেও চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় হোম টেক্সটাইলের রফতানি আয় শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে।
এছাড়া কৃষি পণ্যের রফতানি আয় ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ১৯ লাখ ডলারে। ২০২৪ সালের একই সময়ে যা ছিল ১০ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে মাসে রফতানি হয়েছে ৯ কোটি ৯ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।
এদিকে, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তৈরি পোশাক, ওষুধ এবং চামড়াসহ ২৭ ধরনের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ১ হাজার ২৩১ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৬৪ শতাংশ বেশি।