শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে উপজেলার মাইজপাড়া গরুর হাটে অভিযুক্ত ইজারাদারকে সেনাবাহিনী আটকের পর ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্চিতা বিশ্বাস।
ইজারাদার এস এম শামসুজ্জামান খোকন নড়াইল সদরের রূপগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল মাইজপাড়া গরুর হাটে নিয়মিত নজরদারির সময় দেখতে পান, ইজারাদার গরু প্রতি ১ হাজার থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত ইজারা আদায় করছেন। যেখানে সরকার নির্ধারিত হার প্রতি গরুর জন্য ৬০০ টাকা এবং ছাগলের জন্য ২০০ টাকা রয়েছে।
সেনাবাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইজারাদার দাবি করেন, অনুমোদিত হার অনুযায়ী ইজারা আদায় করছেন তিনি। যেখানে ১ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গরুর জন্য ১ হাজার এবং ১ লাখের কম মূল্যের গরুর জন্য ৫০০ টাকা আদায়ের অনুমতি রয়েছে। তবে তার দাবি করা ইজারা হারের তালিকা দেখাতে তিনি ব্যর্থ হন। স্থানীয় খামারি ও হাট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ইজারাদার দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছেন এবং আদায়ের পর কোনো রশিদ বা প্রমাণপত্রও দেন না।
আরও পড়ুন: গাড়ি থামিয়ে ইজারাদারদের টানাটানি, বিপাকে পশু বিক্রেতারা
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাকে ঘটনাস্থলেই মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয় এবং অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়া হয়। সেনাবাহিনীর টহল দল গরুর হাট থেকে চলে গেলে অভিযুক্ত ইজারাদার খোকন পুনরায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় শুরু করেন। সেনাবাহিনী পুনরায় গরুর হাটে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা অবস্থায় ইজারাদারকে হাতেনাতে আটক করেন।
আরও জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইজারাদের অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রমাণ পান। অভিযুক্ত ইজারাদার এস এম শামসুজ্জামান খোকন নিজের অপরাধ স্বীকার করায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয় তাকে।