‘সেদিন নাকি ও স্কুলে আসতে চায়নি, ওর মা বলল’

৬ দিন আগে
‘সেদিন নাকি ও স্কুলে আসতে চায়নি, ওর মা বলল’—কথাগুলো উচ্চারণ করছিলেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র জারিফ হাসানের বাবা হাবিবুর রহমান। এ সময় তার চোখের কোণে জমা ছিল অশ্রু আর কণ্ঠভরে ছিল বিষাদ।

শনিবার (২ আগস্ট) সকালে উত্তরার দিয়াবাড়িতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে আয়োজিত শোক ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


জারিফের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ছেলেটা আমার খুব চটপটে ছিল। খুব ফ্রেন্ডলি। বন্ধুদের সঙ্গেই থাকত বেশি।’


অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন (অব.) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যদি দুর্ঘটনা ১টা ৪-৫ মিনিটের দিকে হতো, তাহলে আরও কত মা-বাবা সন্তান হারাতেন, তার ঠিক নেই।’


তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময় তিনি শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন। প্রধান শিক্ষিকা ডেকে না নিয়ে গেলে হয়তো তিনি নিজেও লাশ হয়ে যেতেন।
 

আরও পড়ুন: মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি /শেষ মুহূর্তে শরীরে আগুন ধরে যায় মাহরিন-মাসুকার গায়ে


অধ্যক্ষ বলেন, ‘পৌনে দুই বছর আমি এই কলেজের দায়িত্বে আছি। কোনো দিন ছুটির সময় আমি বাইরে যাই না। বারান্দায় দাঁড়াই, হাঁটাহাঁটি করি, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দেখি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন করা দেখি। কিন্তু সেদিন ১টার সময় দুজন নতুন শিক্ষকের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে বলে প্রধান শিক্ষিকা ডেকে নিয়ে যান। বেলা ১টা ৪ মিনিটের দিকে বের হয়ে গেলাম। আর ১টা ১২ থেকে ১৩ মিনিটের মাঝামাঝি সময়ে দুর্ঘটনা ঘটল।’


এ সময় নিহত সহকারী শিক্ষক মাসুকা বেগমের কথা স্মরণ করেন সহকর্মীরা। তারা বলেন, শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেলেও তিনি শিক্ষার্থীদের ফেলে রুম থেকে বের হননি। তার আত্মত্যাগ সবাইকে কাঁদায়।


মাসুকার দুলাভাই খলিলুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার পর বহুক্ষণ তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে হাসপাতালে গিয়ে তার সন্ধান মেলে।


অনুষ্ঠানে এক মিনিট নীরবতা পালন, নিহতদের স্মরণে বক্তব্য এবং দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার এবং সঞ্চালনা করেন ইংরেজি শিক্ষক নুসরাত আলম।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন