শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ও সন্ধ্যায় চাঁদপাই রেঞ্জের পৃথক দুটি এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান চোরা শিকারীরা।
চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে ঢাংমারী বনাঞ্চলের হুলার ভারানী সংলগ্ন খালে পায়ে হেঁটে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে হরিণ শিকারের জন্য পেতে রাখা ৮২টি গোলাকৃতি ‘মালা ফাঁদ’ জব্দ করা হয়। এছাড়া সকালে নন্দবালা টহল ফাঁড়ির সূর্যমুখী খাল সংলগ্ন এলাকা থেকে আরও ৫৩টি মালা ফাঁদ জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: ড্রোন ব্যবহার করে সুন্দরবনে নৌকা ও মাছ জব্দ
সুরজিৎ চৌধুরী আরও জানান, এর আগেও সুপতি স্টেশনের আওতাধীন শাপলা ক্যাম্পের ছোট সিন্দুক বারিয়া খালের উত্তর পাশ থেকে ৪৫০টি মালা ফাঁদ জব্দ করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে নতুন কৌশলে আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। এখন শিকারিরা পায়ে হেঁটে বনের গভীরে প্রবেশ করে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকারের চেষ্টা করছে। আমাদের বনরক্ষীরাও অস্ত্রসহ পায়ে হেঁটে অভিযান চালাচ্ছে। সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর।’
]]>