বুধবার (২১ মে) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা। ঘেটেল তিনি প্রতিপক্ষের লোকজনের বাঁশের লাঠির আঘাতে মারা যান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শিশুদের পায়ের জুতা হারানোকে কেন্দ্র করে ওয়াহিদ আলী ও একই গ্রামের কনা মিয়া গ্রুপের লোকজনের বিকেলে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত ৯টার দিকে উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও বাঁশের লাঠি নিয়ে গ্রামে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় ওয়াহিদ আলী সংঘর্ষ ফেরাতে গেলে প্রতিপক্ষের বাঁশের লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলে মারা যান। বুধবার সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হলে বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা তাকে খুঁজতে বের হন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে চাচাতো ভাইদের হামলায় বৃদ্ধ নিহত
পরে হাজীনগর গ্রামের পাশে একটি হাওড়ে ওয়াহিদ আলীর মরদেহ দেখতে পেয়ে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক জানান, শিশুদের জুতা হারিয়ে যাওয়া নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।