মঙ্গলবার (১ জুলাই) অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে ধর্মপাশা চৌকি আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রিয়াজুল কাউসার।
এর আগে সোমবার (৩০ জুন) রাতে ওই ছাত্রী বাদি হয়ে আইনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় নারী শিশু আইনে মামলা করেন।
আইনুল হক সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউপির ইসলামপুর গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে। নির্যাতিতা ছাত্রী এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। থানার সামনে দিয়ে আসা যাওয়ার পথে আয়নালের সাথে ছাত্রীর পরিচয় ও প্রেম হয়।
আরও পড়ুন: জীবিকার খোঁজে মেঘালয়ের ‘মৃত্যুকূপে’ সুনামগঞ্জের মানুষ
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে প্রথমে বিয়ের কথা গোপন করে নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন আইনুল হক। গত ২৫ জুন পুলিশ সদস্য তাকে বিয়ে ও বেড়ানোর আশ্বাস দিয়ে সুনামগঞ্জ নিয়ে এসে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর পর হোটেলে রাত কাটানোর সময় মেয়েটির ইচ্ছের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেন।
ধর্ষিতা মেয়েটি পুলিশ সদস্য আইনুল হককে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি বিয়েতে রাজী হন কিন্তু প্রথম পক্ষের স্ত্রী আইনুল হকের দ্বিতীয় বিয়েতে জোড়ালো বাধা দেয়। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া আইনুল হক প্রেমিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, আইনুল হকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে। এ মামলায় আয়নালকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে সুনামগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
]]>